৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বাংলাদেশ হেরেই গেলো ষ

-

বাংলাদেশকে সহজেই হারিয়ে এশিয়া কাপের ১৪তম আসরের সুপার ফোরে যাত্রা শুরু করল ভারত। সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারত ৭ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশকে। টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে ১৭৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ৮২ বল বাকি রেখে জয় তুলে নেয় ভারত।
গত রাতে দুবাইয়ে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নেয় ভারত। দুই ওপেনার লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন। দু’জনই ৭ রান করে ফেরেন। তখন বাংলাদেশের স্কোর ২ উইকেটে ১৬ রান।
তৃতীয় উইকেট মুশফিকুরকে নিয়ে শুরুর পরিস্থিতি ভুলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন সাকিব। কিন্তু দু’জনের কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ভারতের বাঁ-হাতি স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজার শিকার হন তারা। সাকিব ১৭ ও মুশফিকুর ২১ রান করেন।
হার্ডিক পান্ডিয়ার পরিবর্তে দলে সুযোগ পাওয়া জাদেজা পরে আরো দু’টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট শিকার করেন। মোহাম্মদ মিথুন ৯ ও মোসাদ্দেক হোসেন ১২ রান করে জাদেজার বলে আউট হন। মাঝে মাহমুদউল্লাহর উইকেট শিকার করেছেন ভারতের পেসার ভুবেনশ্বর। ভালো শুরু করেও ২৫ রানে থেমে যান মাহমুদউল্লাহ।
১০১ রানে সপ্তম উইকেট হারিয়ে দ্রুত গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ। কিন্তু অষ্টম উইকেটে ব্যাট হাতে ভারতীয় বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ও মেহেদি হাসান মিরাজ। ফলে সম্মানজনক স্কোরের পথে হাঁটতে থাকে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত অষ্টম উইকেটে ৭৯ বলে ৬৬ রানের জুটি গড়েন তারা। মাশরাফিকে ২৬ রানে থামিয়ে দিয়ে এ জুটি ভাঙেন ভারতের ভুবেনশ্বর।
মাশরাফির বিদায়ের কিছুক্ষণ পর থামেন মিরাজও। দুইটি করে চার ও ছক্কায় ৫০ বলে ৪২ রান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের ৫ বল বাকি থাকতে ১৭৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ভারতের জাদেজা ৪টি, ভুবেনশ্বর-বুমরাহ ৩টি করে উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ১৭৪ রানের টার্গেটে ভারতের ইনিংস শুরু করেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান। ব্যাট হাতে শুরুটা ভালোই করেন রোহিত ও ধাওয়ান। তবে সেটি ছিল ধীরলয়ে। ৮৬ বলে ৬১ রান যোগ করেন তারা। ৪৭ বলে ৪০ রান করা ধাওয়ানকে শিকার করে ভারতীয় শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। নিজের ইনিংসে ৪টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন ধাওয়ান।
এরপর আম্বাতি রাইদুকে নিয়ে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন রোহিত। ফলে জয়ের পথে বেশ ভালোভাবেই টিকে ছিল ভারত। তবে তিন নম্বরে নেমে ১৩ রানের বেশি করতে পারেননি রাইদু। বাংলাদেশের পেসার রুবেল হোসেনের শিকার হন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে রোহিতের সাথে ৪৫ রান যোগ করেন রাইদু।
১০৬ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর ক্রিজে রোহিতের সঙ্গী হন সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। ম্যাচ জয়ের জন্য আসল কাজটা সেরেছেন এ জুটিই। তৃতীয় উইকেটে ৭০ বল মোকাবেলা করে ৬৪ রান যোগ করেন রোহিত-ধোনি।
জয় থেকে ৪ রান দূরে থাকতে ধোনি আউট হলেও ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩৬তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে দলের জয় নিশ্চিত করেন রোহিত। ১০৪ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৮৩ রানে অপরাজিত থাকেন রোহিত। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফির বলে আউট হলে ৩৩ রানে থামেন ধোনি। বাংলাদেশের মাশরাফি-সাকিব-রুবেল ১টি করে উইকেট নেন। ম্যাচসেরা হয়েছেন ভারতের রবীন্দ্র জাদেজা।


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের বাধাহীন প্রবেশের দাবি সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াবের পেকুয়া উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বিএনপির ২ প্রার্থী নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন ১৮৫ দিন : শিক্ষামন্ত্রী মঙ্গলবার ২ হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম, কার্যকর বুধবার বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী ‘ইসলামী সমাজ বিপ্লব ছাড়া মানুষের মুক্তি সম্ভব নয়’ ইসরাইলে জার্মানির অস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে আইসিজের অস্বীকৃতি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন শাহরাস্তি উপজেলা আ’লীগ সভাপতি গ্রীষ্মের ছুটি কি এপ্রিলে এগিয়ে আনা দরকার?

সকল