২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


আগডুম বাগডুম : কবিতা

-

ছোট্ট খুকু
শাজাহান কবীর শান্ত

ছোট্ট খুকু ছোট্ট পায়ে চললে বাজে অলঙ্কার
ভাইয়া পড়ার পাশে গিয়ে বলে এই যে কলম কার!
বাঘের ছবি, মিঁয়াও ছবি খুঁজতে থাকে পুরো বই
না পেলে বই ছিঁড়তে থাকে কান্না করে দ্রুত ওই।

কুটুম যাবে নানু বাড়ি নতুন জামা জুতা কই,
দোলনা দোলে, গান শিখেছে! ঠোঁট নেড়ে কয়- তা-তা তই!
বাইরে যাব বললে খুকু সবার কোলে দেয় সে ঝাঁপ
খই ফোটানো শুনলে কথা পেরে ওঠা ভীষণ টাফ!

টু খেলে যায় বাবার সাথে আম্মুকে সে আড়াল নেয়
ভাইয়া বলে এই পেয়েছি মাথাখানি বাড়ালেই!
খুকুর ভাইয়া খুকুর সাথে খেলতে থাকে কেমন বেশ
ভাইয়া-খুকুর খেলায় জমে ওঠে ভালোই পরিবেশ।


মনে হাজার স্বপ্ন
জাকির শায়েরী

আমার খোকার মনটা ভালো
মস্তো বড় দিল
খোকার সাথে আমার যেন
আছে শতো মিল।

ভর-দুপুরে খোকার কাছে
আসলো দীনহীন
খোকার ব্যাগে তখন ছিল
স্কুলের টিফিন।

হাত বাড়িয়ে দিল খোকা
টিফিনগুলো নাও
দেখছি তুমি ক্লান্ত অনেক
পেট ভরিয়ে খাও।

দীনহীনের পাশেই বসে
শান্ত মনে হাসে
খোকার মনে হাজার স্বপ্ন
সুখ তরঙ্গে ভাসে।

 

গাঁয়ের ছবি
সুপদ বিশ্বাস

চার দিকে সবুজঘেরা ঘরবাড়ি তার ফাঁকে
ডালে ডালে কত পাখি ওড়ে ঝাঁকে ঝাঁকে।
পালতোলা নাও ভেসে চলে
দূরে নদীর বাঁকে
রাখাল বসে গাছ তলাতে
মিষ্টি সুরে হাঁকে।

অবুঝ শিশু ধুলোমেখে খোঁজে শুধু মাকে
দূরে সবুজ গাছগাছালি আছে থাকে থাকে।

খোকাখুকু ডোবা নালায়
গামছায় মাছ ছাঁকে
ঘোমটাপরা যায় বধূরা
কলস নিয়ে কাঁখে।

কয়না কথা খুকু তবে মা কেবলই ডাকে
খুকু তখন রঙতুলিতে গাঁয়ের ছবি আঁকে।

 

বাংলাদেশে বাড়ি
সাগর আহমেদ

ছোট্ট খোকন
যাচ্ছে যখন
গাঁয়ের রাস্তা ধরে,
একটি টিয়া
সবুজিয়া
আসলো হঠাৎ করে।

মিষ্টি করে
বলল- সুরে
কোথায় তুমি থাকো,
কোন দেশেতে
বসে বসে
মনের স্বপন আঁকো।

মুখটি খুলে
খোকা বলে
হাত দুটো তার নাড়ি,
বাংলাদেশে
বাড়ি আমার
বাংলাদেশে বাড়ি।


আরো সংবাদ



premium cement