০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সূর্যের কতটা কাছে যাবে আদিত্য এল১?

সূর্যের কতটা কাছে যাবে আদিত্য এল১? - সংগৃহীত

চাঁদের মাটিতে ভারতের বিজয়কেতন গাঁথা হয়ে গেছে। এ বার সূর্যকে ‘ছুঁতে’ চায় ইসরো। ইতোমধ্যেই সে দিকে পা বাড়িয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।

সূর্যের কাছে ইসরোর ‘দূত’ হয়ে যাচ্ছে আদিত্য এল১। এটি একটি কৃত্রিম উপগ্রহ যা সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করবে এবং সেখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করবে।

ইসরো জানিয়েছে, আগামী ২ সেপ্টেম্বর আদিত্য এল১-এর উৎক্ষেপণের কথা। ইতোমধ্যে সেটিকে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে বসানো হয়ে গেছে। এখন শুধু রওনা দেয়ার অপেক্ষা।

পৃথিবী থেকে সাড়ে ১০ লাখ কিলোমিটার দূরে পাঠানো হবে আদিত্য এল১-কে। সূর্যের অভিমুখে এগিয়ে ওই দূরত্বের পর থামবে উপগ্রহটি। এই অংশকে বলা হয় ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট।

ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট হলো মহাকাশের এমন একটি অঞ্চল যেখানে দু’টি মহাজাগতিক বস্তুর (এ ক্ষেত্রে সূর্য এবং পৃথিবী) আকর্ষণ এবং বিকর্ষণ বল একসাথে ক্রিয়াশীল। ফলে এই অঞ্চলে পৌঁছে কৃত্রিম উপগ্রহ স্থির থাকতে পারে। সূর্য, পৃথিবীর এই ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্টই আদিত্য এল১-এর লক্ষ্য।

এই অংশে পৌঁছে ইসরোর উপগ্রহটি সর্বক্ষণ সূর্যের দিকে নজর রাখতে পারবে। গ্রহণ বা অন্য কোনো মহাজাগতিক কর্মকাণ্ডে আদিত্য এল১ বাধা পাবে না।

সূর্যের বৈশিষ্ট্য, স্বভাব ইত্যাদি সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা অনেক কিছুই জানেন। আবার অনেক কিছুই এখনো অজানা। সূর্যকে কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করে সেই অজানা তথ্য সংগ্রহ করবে আদিত্য এল১।

আদিত্য এল১-এ মোট সাতটি পেলোড থাকবে। এগুলি সূর্যের বিভিন্ন স্তর খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণের জন্য তৈরি করা হয়েছে। ফটোস্ফিয়ার থেকে ক্রোমোস্ফিয়ার কিংবা সূর্যের একেবারে বাইরের দিকের স্তর কোরোনা, পর্যবেক্ষণ করবে এই সাত পেলোড।
সূত্র : আনন্দবাজার


আরো সংবাদ



premium cement