২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


‘এরশাদের পরিকল্পিত প্রাদেশিক সরকার বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলনে যাবে জাপা’

‘এরশাদের পরিকল্পিত প্রাদেশিক সরকার বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলনে যাবে জাপা’ - ছবি : নয়া দিগন্ত

এরশাদের পরিকল্পিত প্রাদেশিক সরকার বাস্তবায়নের দাবিতে জাতীয় পার্টি আন্দোলনে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।

বুধবার (২০ মার্চ) বিকেলে রংপুর মহানগরীর দর্শনার পল্লী নিবাসে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ৯৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলটির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও রংপুর মহানগর সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা সদস্য সচিব হাজি আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক শাফিউল ইসলাম শাফী, নির্বাহী সদস্য লোকমান হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, হাসানুজ্জামান নাজিম, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদার রহমান মিলন, সদর উপজেলা আহ্বায়ক মাসুদ নবী মুন্না প্রমুখ।

জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা সদস্য সচিব হাজি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পল্লীবন্ধুর জন্ম না নিলে বাংলাদেশের সংবিধানে আমরা বিসমিল্লাহ পেতাম না। ওনার জন্ম না হলে আমরা ইসলাম ধর্ম রাষ্ট্র আমরা কখনই পেতাম না। ওনার জন্ম না হলে আমরা শুক্রবার কখনো ছুটি পেতাম না। ওনার জন্ম না হলে সরকারি কর্মর্তারা বেতনের পর বোনাস পেতো না। উনি মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য গুরত্বারোপ করেছিলেন। ওনার জন্ম এবং নয় বছরের সফল রাষ্ট্র পরিচালনার কারণেই এটা সফল হয়েছে। আমরা মনে করি পল্লীবন্ধু এরশাদকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস রচনার কোনো সুযোগ নেই।

জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও রংপুর মহানগর সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির বলেন, এরশাদই সেই রাষ্ট্রপতি যিনি ৬৮ হাজার গ্রাম বাংলার উন্নয়ন করেছেন। রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট করেছেন। এরশাদ নয় বছরে অবকাঠামো উন্নয়নের যে বীজ বপন করেছিলেন পরবর্তী সরকারগুলো শুধু সেটিরই রিপেয়ার কাজ করছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, এশিয়ার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সংস্কারক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরে জাতীয় পার্টিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমাদের লক্ষ।

কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, এই সাব কনটিনেনটে সব দেশেই প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা আছে। শুধু বাংলাদেশে নেই। বাংলাদেশে প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা একটা গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা জাতীয় পার্টির। প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা চালু হলে আর আমাদের বৈষেম্যের শিকার হতে হতো না। আজকে ১০ টাকার একটা কাজের জন্য আমাদের ঢাকায় যেতে হয়। ঢাকা ছাড়া কোনো জিনিসের সল্যুইশন হচ্ছে না। ঢাকায় যে যানজন বা ঢাকায় সে ক্রাইসেস তা থেকে মুক্তি পেতে ডি সেন্ট্রালাইজড করতে হবে। যতক্ষণ সেটা করা হবে না, ততক্ষণে যত ফ্লাইওভার করেন, মেট্রোরেল করেন, আন্ডারপাস করেন, কোনো কিছুই কাজে আসবে না। সব ভেস্তে যাবে।

মোস্তফা বলেন, ‘আমরা মনে করি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতার যে এজেন্ডা প্রাদেশিক সরকার বাস্তবায়ন, অবশ্যই এটা টুডে অ্যান্ড টুমোরো এটা হবে। সেটা বাস্তবায়নের জন্য আমরা জোড়ালোভাবে সাধারণ মানুষের সামনে এর উপকারিতা-অপকারিতা আমরা তুলে ধরব। সেজন্য একটি যুগপদ আন্দোলন গড়ে তোলার প্রক্রিয়া চলছে।’

আলোচনা সভা শেষে এরশাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাতে অংশ নেন দলীয় নেতাকর্মীরা।


আরো সংবাদ



premium cement