২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


গোবিন্দগঞ্জে চাষ হচ্ছে মসলা জাতীয় ফসল জিরা

- ছবি : নয়া দিগন্ত

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মসলা জাতীয় ফসল জিরার চাষে সফলতা এসেছে। জিরা আবাদে সফলতা পেয়ে অনেক কৃষকই খুশি। মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার পৌরসভার খলসী ও ফুলবাড়ী ইউনিয়নের বড় সাতাল বাতাইল গ্রামে প্রদর্শনী প্লট আকারে ১০ শতক জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে মসলা জাতীয় ফসল হিসেবে কৃষক পর্যায়ে জিরা চাষ করা হয়। জিরা চাষের উপর বিশেষ প্রশিক্ষণ পাওয়া এ সব এলাকার কৃষকরা পরীক্ষামূলক জিরা চাষে বেশ সফলতাও পেয়েছে। কৃষি বিভাগের নানা ধরনের সহযোগিতায় জিরা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে এলাকার কৃষকরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে ফুলবাড়ী ইউনিয়নের বড় সাতাইল-বাতাইল গ্রামের চাষি এজবর আলী বগুড়া মসলা গবেষণা ইনস্টিটিউটে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়ে স্থানীয় কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধায়নে জিরা চাষ করেন।

তিনি জানান, ‘১০ শতক জমিতে নিয়ম মেনে সেচ, সার প্রয়োগ ও সঠিক পরিচর্যায় জিরা চাষে সফলতা এসেছে।’

জামাল নামে আরেক কৃষক জানান, ‘জিরা একটি লাভজনক ফসল এটি ছড়িয়ে পড়লে এলাকার কৃষকরা ব্যাপক হারে জিরা আসে আগ্রহী হবেন।’

গোবিন্দগঞ্জের ফুলবাড়ী ইউনিয়নের সাতাল বাতাইল ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকতা ঝর্ণা বালা বলেন, ‘প্রথমবারের মতো জিরার আবাদে সার্বক্ষণিক পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়েছি। এই সফলতায় তিনিও খুশি।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রেজা-ই-মাহমুদ বলেন, ‘মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওয়ায় মসলা জাতীয় ফসল হিসেবে কৃষক পর্যায়ে পরীক্ষামূলক জিরা চাষ বেশ ভালো হওয়ায় আশাবাদী তারা। এ এলাকার মাটি ও আবহওয়া জিরা চাষের উপযোগী হওয়ায় আগামীতে কৃষক পর্যায়ে বাণিজ্যিকভাবে জিরা চাষ সম্প্রসারণ ঘটানোর উদ্যোগ নেয়া হবে। জিরা চাষ করে আমদানি খরচ কমানোও সম্ভব বলে তিনি মতামত দিলেন। উন্নত মানের বীজ ও প্রযুক্তির সম্প্রসারণ ঘটিয়ে কৃষক পর্যায়ে মসলা জাতীয় ফসল জিরা চাষ সম্প্রসারণ করা গেলে স্থানীয়ভাবে একদিকে যেমন জিরার উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, সেইসাথে জিরার আমদানি নির্ভরতা কমে গিয়ে দেশের বৈদিশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।


আরো সংবাদ



premium cement