দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় অপহরণের ৫৬ ঘণ্টা পর আরিফুজ্জামানের (৮) বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) দিনাজপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান দিনাজপুর পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ। এর আগে রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার পাকেরহাট এলাকায় এক ব্যক্তির বাড়ির আঙিনা খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার জানান, গত ২ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে খানসামা উপজেলার খামারপাড়া ইউনিয়নের কায়েমপুর ডাক্তারপাড়া গ্রামের আতিউর রহমানের ছেলে আরিফুজ্জামান অপহরণ হয়। এরপর আতিউর রহমানের মোবাইল ফোনে কল করে একলাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী। এ ঘটনায় আরিফের বাবা আতিউর খানসামা থানায় অভিযোগ করেন। যার সূত্র ধরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলা করা হয়। পরে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পৃক্তের অভিযোগে তিন যুবককে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন খানসামা উপজেলার কায়েমপুর মাস্টারপাড়া গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে শরিফুল (২৪), গফুর উদ্দীন শাহপাড়া গ্রামের ওবায়দুরের ছেলে শামীম (২২) ও একই এলাকার রিয়াজুলের ছেলে শাহিনুর (২৬)। আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায় শরিফুলই শিশু আরিফুজ্জামানের একমাত্র ঘাতক।
ঘাতক শরিফুল পুলিশকে জানায়, তিনি খেলার মাঠ থেকে শিশু আরিফকে নিয়ে যান তার কম্পিউটার শিক্ষার একটি ঘরে। সেখানে শিশুটিকে পর্ণছবি দেখিয়ে তাকে বলৎকার করে শরিফুল। এরপর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তাকে হত্যা করে লাশটি বস্তাবন্দী করে মাটিতে পুতে ফেলেন।
একইসাথে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে পরে ভিকটিমের বাবার কাছে মুক্তিপণের দাবি করে। শরিফুলের চাঞ্চল্যকর তথ্যে রোববার দিবাগত রাতে পাকেরহাট এলাকায় নীলফামারী সদর থানার পুলিশের সাবেক গাড়ি চালক আব্দুস সালামের বাড়ির আঙিনা খুঁড়ে বস্তাবন্দি হাত-পা বাঁধা অবস্থায় শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।