২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


রুয়েটের সাবেক ভিসি ও রেজিস্ট্রারের নামে মামলা করছে দুদক

সাবেক ভিসি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সেলিম হোসেন - ছবি : সংগৃহীত

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) অবৈধভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরই প্রেক্ষিতে দুদক রুয়েটের সাবেক ভিসি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম সেখ ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সেলিম হোসেনের নামে মামলার অনুমোদন দিয়েছে।

সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে দুদকের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম এর আগে ২০২৩ সালের ২৮ মার্চ অনুসন্ধান শুরু করেন। দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে গত জানুয়ারিতে মামলা করার জন্য অনুমোদন চাওয়া হয়। এরপর গেল সপ্তাহে দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্ত বিভাগ থেকে তাদের নামে মামলা দায়েরের অনুমোদন দেয়া হয়। দুদকের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ জহিরুল হুদার সই করা এক চিঠিতে সংশ্লিষ্টদের এ অনুমোদনের বিষয়টি জানানো হয়।

দুদকের রাজশাহী বিভাগীয় উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, অনুসন্ধান শেষে রুয়েটের সাবেক ভিসি রফিকুল ইসলাম সেখ ও তৎকালীন (সাবেক) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সেলিম হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের মঞ্জুরি পাওয়া গেছে। তিনি বাদী হয়ে দ্রুতই মামলাটি দায়ের করবেন।

তিনি বলেন, ১৩৫ জনের নিয়োগে কমবেশি অনিয়ম হয়েছে। তবে এর মধ্যে ১৭ জনের নিয়োগ নিয়ে দুদক মামলা করবে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রুয়েটের ভিসি হিসেবে ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই চার বছরের জন্য নিয়োগ পান ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স বিভাগের অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম সেখ। এরপর বিভিন্ন সময়ে তিনি ১৩৫ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেন। ২০২১ সালের ৪ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯২তম সিন্ডিকেট সভায় এসব নিয়োগ অনুমোদন ও বৈধ করা হয়। তবে এসব নিয়োগের ক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বিধি-বিধান লঙ্ঘন করার গুরুতর অভিযোগ উঠে।

এর মধ্যে নিয়োগ বিধি লঙ্ঘন করে সাবেক ভিসি নিজের কয়েকজন আত্মীয়-স্বজনকেও নিয়োগ দেন। যারা নিয়োগ পাওয়ার যোগ্যই ছিলেন না। এসব নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন-ইউজিসিতে অভিযোগ হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউজিসির একটি তদন্ত কমিটি নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগগুলো তদন্ত করেন। তদন্তে অধিকাংশ অভিযোগের সত্যতা মেলে। এরপর ইউজিসি থেকে তদন্ত প্রতিবেদন অধিকতর তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানো হয়। অন্যদিকে ২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে চিঠি দিয়ে রুয়েটে বিতর্কিতভাবে নিয়োগ পাওয়া ১৩৫ জনের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দেয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। যদিও এসব নিয়োগ এখন পর্যন্ত বাতিল করা হয়নি।

রুয়েটের সাবেক ভিসি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম সেখ গণমাধ্যমকে বলেন, দুদকের মামলার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।

নিয়োগে কোনো অনিয়ম হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, মামলা হলে আইনিভাবেই তা মোকাবিলা করা হবে।

তবে এ ব্যাপারে রুয়েটের সাবেক ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সেলিম হোসেনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


আরো সংবাদ



premium cement