২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


রিভিউ : শাওমি মিক্স ফোল্ড থ্রি

-

বিশ্বব্যাপী ফোল্ডিং স্মার্টফোনের জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ফোল্ডিং স্মার্টফোনপ্রেমীদের জন্য মিক্স ফোল্ড থ্রি এনেছে শাওমি। ফোনটির প্রথমেই যে দিকটি নজর কাড়বে তা হলো এর স্লিম ডিজাইন। অন্যান্য ফোল্ডিং ফোনের তুলনায় এই ফোনটি বেশ পাতলা যার ফলে এটি ব্যবহার করাও যায় স্বাচ্ছন্দ্যে। ফোল্ডিং ফোনের ক্ষেত্রে এর হিঞ্জ মেকানিজম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ফোনটির হিঞ্জ টেকসই করার জন্য এটি খুবই সূক্ষ্মভাবে তৈরি করা হয়েছে।

ডিসপ্লে
মিক্স ফোল্ড থ্রির বাইরের ডিসপ্লেটি অ্যামোলেড, যা প্রায় পুরো ফ্রন্ট সাইড জুড়েই রয়েছে। ফলে এর ভিজ্যুয়াল খুবই তীক্ষè আর উজ্জ্বল মনে হয়। মূলত ডিভাইসটি আনফোল্ড করার পর দেখা যায় এর আসল চমক। যেখানে রয়েছে এর বিশাল ৮-ইঞ্চি ওলেড স্ক্রিন। মাল্টিটাস্কিংয়ের জন্য এমন বড় স্ক্রিন খুবই সুবিধাজনক। ভেতরের স্ক্রিনের পিক্সেল বাইরের স্ক্রিনের চেয়ে সামান্য কম হলেও ১২০ হার্জের স্ক্রিন রিফ্রেশ রেটের কারণে এই তারতম্য চোখে পড়ে না। সাউন্ড সিস্টেমের জন্য এতে রয়েছে ডলবি ভিশনের সাপোর্ট। ফোনটির ব্রাইটনেস অনেক বেশি হওয়ায় এর এইচডিআর কোয়ালিটিতে ছবি ফুটে উঠে উজ্জ্বলভাবে। বাইরের আলোতেও এর ডিসপ্লেতে কাজ করতে কোনো অসুবিধা হয় না।

ক্যামেরা
শাওমি মিক্স ফোল্ড থ্রি ফোনটিতে রয়েছে কোয়াড ক্যামেরা সেটআপ। এতে রয়েছে দু’টি টেলিফটো লেন্সের সুবিধা যা ৩.২ ও পাঁচগুণ জুম করা যায়। উভয় টেলিফোটোতেই একটি ১০-এমপি স্যামসাংয়ের সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে। এর প্রাইমেরি ক্যামেরায় ৫০ মেগাপিক্সেলের সনি আইএমএক্স-৮০০ সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে যা ডিফল্টে দেয় ১২.৫ মেগাপিক্সেলে ভিজ্যুয়াল। ফোনটিতে রয়েছে আলট্রা-ওয়াইড ক্যামেরা যেখানে ওমনি ভিশন ওভি-১৩ বি-১০ ইমেজার থাকায় এতে ১২ মেগাপিক্সেলে ছবি দেখা যায়। এ ছাড়া, ডিভাইসটির প্রতিটি ডিসপ্লের জন্য রয়েছে দু’টি ফ্রন্ট-ফেসিং ক্যামেরা।

ডাইমেনশন
মিক্স ফোল্ড-৩ ফোনটি খোলা অবস্থায় ৫.৩ মিলিমিটার ও বন্ধ অবস্থায় ১০.৯ মিলিমিটার। এই স্লিমনেসের কারণে ফোনটি ভাঁজ করার সময় একটি সাধারণ ফোনের মতোই মনে হয়। আবার পকেটে এটি রাখাও যায় সহজে। তবে, অন্যান্য ফোল্ডিং ফোনের চেয়ে এর উচ্চতা সামান্য বেশি। আবার অন্যদিকে, এতে রয়েছে বিশাল স্ক্রিন স্পেস যা সচরাচর অন্য ফোনে দেখা যায় না।
শাওমির মতে, এর মিক্স ফোল্ড থ্রি ফোনটি এতটাই টেকসই যে, এই ফোনটির হিঞ্জ পাঁচ লাখ বার ভাঁজ সহ্য করতে পারে। তবে, আইপি রেটিং না থাকায় ফোনটির স্থিতিস্থাপকতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। ব্যবহারকারীদের সতর্ক থাকতে হবে যেন ডিভাইসটি আর্দ্রতা থেকে দূরে থাকে। ডিভাইসটির অভ্যন্তরীণ স্ক্রিন ফ্রেমের চারপাশে ধূলিকণা জমলেও, তা দ্রুত মুছে ফেলা যায়। তবুও এর নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণে গুরুত্ব দিতে পারলে ভালো। কারণ, হিঞ্জ মেকানিজমের ক্ষেত্রে ধুলোবালু ডিভাইসের স্থায়িত্ব কমিয়ে দিতে পারে।


আরো সংবাদ



premium cement