২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ট্রাম্পের নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম

-

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজস্ব একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম চালু করেছেন গত মঙ্গলবার। সোশ্যাল মিডিয়া বললেও এটি দেখতে আসলে ওয়ার্ডপ্রেসের একটি ব্লগ। নতুন এ ব্লগটি অনেকটা টুইটারের আদলে তৈরি করা হয়েছে, তবে এখানে ট্রাম্পের ধারাভাষ্য যুক্ত করা হচ্ছে। ইমেইল ও ফোন নম্বরের মাধ্যমে যে কেউ এ ব্লগের পোস্ট অ্যালার্ট দিয়ে রাখতে পারবেন। এতে যখনই ট্রাম্প কোনো পোস্ট করবেন তখনই ওই ব্যক্তি তা পড়তে পারবেন। ট্রাম্পের পোস্টে লাইক দেয়ার পাশাপাশি সেগুলো ফেসবুক ও টুইটারেও শেয়ার করতে পারবেন।

প্লাটফর্মটি মঙ্গলবার উন্মোচিত হলেও তাতে গত ২৪ মার্চ থেকে পোস্ট পাওয়া যাচ্ছে। সর্বশেষ একটি ভিডিও পোস্টে ট্রাম্প বলেন, এখানে স্বাধীনভাবে ও নিরাপদে কথা বলা যাবে।
ফেসবুক ওভারসাইট বোর্ড যখন ট্রাম্পের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বসছে, তার একদিন আগে কথিত নিজস্ব প্লাটফর্ম চালু করলেন সাবেক এ রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে ফেসবুক ওভারসাইট বোর্ড। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গৃহীত সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করে যৌক্তিক শাস্তি নির্ধারণ করতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে ছয় মাসের সময় বেঁধে দিয়েছে ওভারসাইট বোর্ড।
ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় উসকানির অভিযোগে গত জানুয়ারির শুরুর দিকে ফেসবুক ও তাদের নিয়ন্ত্রিত অন্যান্য প্লাটফর্ম থেকে নিষিদ্ধ করা হয় ট্রাম্পকে। কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে এমন নিষেধাজ্ঞা নজিরবিহীন।
একসময় বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য ফেসবুকের ২০ সদস্যের ওভারসাইট বোর্ডে যায়, যা ‘ফেসবুকের সুপ্রিম কোর্ট’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
সর্বশেষ ওভারসাইট বোর্ড কী সিদ্ধান্ত দেয় তা দেখার অপেক্ষায় ছিলেন অনেকেই, কারণ ভবিষ্যতে রাষ্ট্রনেতারা নিয়ম ভাঙলে ফেসবুক কেমন পদক্ষেপ নেবে, বোর্ডের সিদ্ধান্তে তার ইঙ্গিত মিলবে।
ওভারসাইট বোর্ডের উপপ্রধান সাবেক ফেডারেল বিচারপতি মাইকেল ম্যাককনেল বলেন, ফেসবুক ট্রাম্পের ওপর অনির্দিষ্টকালের স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছে এবং পুরো বিষয়টি মূল্যায়নে ওভারসাইট বোর্ডের কাছে পাঠিয়েছে। আমরা মনে করি অনির্দিষ্টকালের শাস্তি মার্কিন বা
আন্তর্জাতিক আইনে স্পষ্টতা, ধারাবাহিকতা এবং স্বচ্ছতার বিচারে গ্রহণযোগ্য হবে না।
বিশ্বনেতা এবং রাজনীতিকরা যেভাবে বিভিন্ন প্রযুক্তি প্লাটফর্মের রীতিনীতি লঙ্ঘন করছেন, তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় তা নির্ধারণে রীতিমতো ঘাম ঝরাতে হচ্ছে কোম্পানিগুলোকে।
ফেসবুক ওভারসাইট বোর্ডের রায়ের পর ট্রাম্প তার প্লাটফর্মে লেখেন, ফেসবুক, টুইটার ও গুগল যা করল তা একেবারে লজ্জার বিষয়। কিছু উগ্র বামপন্থী সত্যকে ভয় পায় বলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হলো। দেশের মানুষ এটা মেনে নেবে না! এসব দুর্নীতিবাজ সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোকে চড়া রাজনৈতিক মূল্য চুকাতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement