আজ ৯ ডিসেম্বর রোকেয়া দিবস। প্রতিবারের মতো হয়তো এ বছরও দিবসটি ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালিত হবে। অগণিত প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও অনুকরণীয় নারীদের একেকজন যেন রোকেয়ারই প্রতিচ্ছবি; যা হয়েছে অন্য নারীর এগিয়ে চলার পথে সহায়ক। তারা নেপথ্যে অবস্থান করেও প্রতিনিয়ত অন্যকে অনুপ্রাণিত করেছেন। যথাযথ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে রেখেছেন অবদান; গড়ে তোলেন সময়োপযোগী করে। করেন নিজগুণে ভুলত্রুটি সংশোধন। আর এই ত্যাগী নেপথ্যের বিচরণকারীরা ছিলেন বলেই আমার মতো অগণিত ঘরকুনোরা কিছু একটা হলেও করতে পারছি। পারছি তুলে ধরতে সমাজের সঙ্গতি-অসঙ্গতি। লিখতে পারছি অস্থির সময়ের মানবতার নামে নৃশংসতার পাণ্ডুলিপি। এরই উদাহরণস্বরূপ ক্ষমতায় টিকে থাকার লড়াইয়ে যে লুকোচুরি খেলা হচ্ছে, এর অগ্রভাগেও আছেন দু’জন নারীই। যারা তাদের অগণিত বক্তৃতায় বেগম রোকেয়াকে অনুসরণ করার বিষয় তুলে ধরেন। তাকেই পথপ্রদর্শক করে অন্য নারীদের এগিয়ে চলার জন্য জানান আহ্বানÑ যা এই অস্থির সময়ে দাঁড়িয়েও হয়তো তারা বলে যাবেন। যখন দগ্ধ বাবা-মায়ের পাশে সন্তানদের করুণ মুখ দেখব। দেখব সন্তানের লাশের পাশে বসে প্রবীণ মায়ের আর্তনাদ। স্বামীর লাশের পাশে স্ত্রীর আহাজারি।
যেকোনো সময় যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্যও মানসিক শক্তি অর্জন করতে হয় এবং আমরা ঘরেও কি নিরাপদ? স্রোতের বিপরীতে মুখ খুলেছি তো মনগড়া পরিচয়ের সনদপত্র গলায় ঝুলিয়ে আমাকে-আপনাকে হাতকড়া পরাতেই বা কতক্ষণ। অথচ শীতে ছিন্নমূল যে শিশুটি এক টুকরো গরম কাপড় পেতে যখন হাত বাড়িয়ে দেয়, অরাজকতার কারণে যে দিনমজুর পরিবারের জন্য একমুঠো চালের জোগান দিতে পারেনি, যে গার্মেন্ট কর্মী দেশের অর্থনীতি ধসের মাশুল দিতে চাকরি হারিয়েছেন; বৃদ্ধ মা, শিশুসন্তানের ক্ষুধার জ্বালা নেভাতে রাতের আঁধারে নিজের শরীর বিক্রি করছেন, নাম লেখাচ্ছেন পতিতাদের দলে। এই ত্যাগী নারীদেরও বা কী করে আমরা রোকেয়ার অনুসারীদের থেকে বাদ দিই। বাদ দিই গীতা সেনকে। যে সন্তানকে গড়ে তুলতে, তাকে সঙ্গ দিতে গিয়ে বোমায় আহত হয়ে জীবনভর স্বাভাবিক সৌন্দর্য কর্মদক্ষতা হারিয়ে প্রতিবাদ করছেন। প্রতিবাদের ভাষা ছাড়া আর কিছুই তার নেই। আমরা প্রকৃত রোকেয়ার অনুসারীরা কখনোই চাই না এই অধ্যায়ের মেয়াদ বাড়–ক। বেঁচে থাকুক কোনো একজন আপন সত্তা জীবনের স্বাভাবিক ছন্দ হারিয়ে। আর এর চাক্ষুষ প্রমাণ পেয়েছিলাম ঢাকা মেডিক্যাল বার্ন ইউনিটে গিয়ে। যেখানে মমতাজ বেগমের মতো অসংখ্য সেবিকা তখন দিনরাত এক করে অক্লান্ত পরিশ্রমে পোড়া রোগীদের যন্ত্রণা উপশমে সেবা ও শ্রম দিয়ে যাচ্ছিলেন। যাদের এক অদ্বিতীয় নীরব ভাষা ছিলÑ আমরা বেগম রোকেয়ারই অনুসারী, যুগের ধারায় বিভিন্ন রূপে।
তাই আমাদের সম্মিলিত চাওয়া, আমরা কোনো অনৈতিক কিছু চাই না। শুনতে চাই না কোনো একটি মানুষের আর্তনাদ। সাদা কাফনে ঢাকতে চাই না পরিচয়হীন কোনো একটি লাশ। নিজ কর্তব্য পালনে বুঝে নিই আমরা ছদ্মবেশী নই, প্রকৃত অর্থে রোকেয়ারই অনুসারী। হ
খন্দকার মর্জিনা সাঈদ
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা