১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলকদ ১৪৪৫
`


স্ম র ণ

কায়েদ ছাহেব হুজুর

-

আলেমে দ্বীন হজরত মাওলানা মুহাম্মাদ আযীযুর রহমান নেছারাবাদী কায়েদ ছাহেব হুজুরের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। হজরত কায়েদ হুজুর অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠ ও সংগ্রামী মুজাহিদ ছিলেন। সুদ, ঘুষ, মদ, জুয়া, বেহায়াপনা ও অশ্লীলতার বিরুদ্ধে জোরালোভাবে বলেছেন। তিনি অপ্রয়োজনীয় বিদেশী পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছেন। বঙ্গভূমি প্রতিষ্ঠার আন্দোলন প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছেন। নির্যাতিত মজলুম মানুষের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। নিজেই মিছিল নিয়ে স্লোগান দিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছেন। হজরত কায়েদ হুজুর এক অসাধারণ নেতার ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি সামগ্রিক জীবনে ইসলামী বিধিবিধান মেনে চলার জন্য মানুষদের উৎসাহিত করতেন এবং সেভাবে চলার জন্য নানা ধরনের সংগঠন প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেছেন। তিনি একজন বড় মাপের সংগঠক। জমিয়তে হিযবুল্লাহ, জমিয়তুল মুসলিহীন তার হাতেগড়া সংগঠন। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে তিনি আদর্শ সমাজ বাস্তবায়ন পরিষদ গঠন করেন। তিনি বিভিন্ন প্রকার আন্দোলন, সংগ্রাম ও কর্মসূচি হাতে নিয়ে অনুসারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তুলেছেন। তিনি প্রশিক্ষিত জনসম্পদ গড়ার প্রতি গুরুত্ব দিতেন। তিনি প্রায়ই বলতেন, আমি কোয়ানটিটি চাই না, চাই কোয়ালিটি।

তিনি সন্ত্রাস ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে দৃপ্তকণ্ঠে আওয়াজ তুলেছেন। তার সুস্পষ্ট বক্তব্য হচ্ছে- সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দিয়ে কখনো কোনো আদর্শ প্রতিষ্ঠা করা যায় না, বরং তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে রাজনীতিসচেতন নাগরিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং ইসলামী রাজনীতির সফল ব্যাখ্যাকারী। তার দর্শন ইত্তিহাদ মায়াল ইখতেলাফ বা মতানৈক্যসহ ঐক্য পারে শতধা বিভক্ত মুসলিম সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে। তার মতে, ‘দেশের বিভিন্ন দ্বীনি সংগঠন ও ব্যক্তির কাজের মধ্যে সমন্বয় সাধন অপরিহার্য। প্রয়োজন প্রত্যেকের কাজের স্বীকৃতি ও মূল্যায়ন। পারস্পরিক যোগাযোগ, সম্মান ও স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে ক্রমান্বয়ে একটি মিলিত ধারা সৃষ্টি হতে পারে।’


আরো সংবাদ



premium cement