২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


স্ম র ণ : সাংবাদিক আজিজুল হক বান্না

-

আজ ২৪ মে। বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট ও লেখক আজিজুল হক বান্নার ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী। আজিজুল হক বান্না ১৯৪৯ সালে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ধুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মৌলভি আতহার হোসেন। সাংবাদিক বান্না বরিশালে কলেজজীবন শেষ না করতেই সাংবাদিকতা পেশায় আত্মনিয়োগ করেছিলেন। ১৯৭০ সালের ১৮ জানুয়ারি ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সংগ্রামের বরিশাল প্রতিনিধিরূপে তার কর্মজীবনের সূচনা। তখনকার ঝঞ্ঝামুখর রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তিনি সাফল্যের সাথে পালন করেছিলেন এই গুরুদায়িত্ব। সারা জীবন ছিলেন সংবাদপত্রের সাথে জড়িত।
আজিজুল হক বান্না সাংবাদিকদের মর্যাদা ও জীবিকার সংগ্রামে ছিলেন সদা অগ্রণী। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের পেশাগত বিভিন্ন দাবিদাওয়া আদায়ের আন্দোলনে তিনি বরাবরই ছিলেন সোচ্চার ও সক্রিয়। পেশাগত কারণে স্বৈরাচারী এরশাদ আমলে তাকে দুই মাস অন্তরীণ থাকতে হয়। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) নির্বাচনে তিনি দু’বার সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। একপর্যায়ে ডিইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার স্বাধীনতা, দায়িত্ব ও মর্যাদার বিষয়ে তিনি বক্তৃতার পাশাপাশি প্রবন্ধও লিখেছেন। আজিজুল হক বান্না প্রেস কাউন্সিলের মতো জাতীয় প্রতিষ্ঠানের অন্যতম সদস্য এবং ঢাকা সাংবাদিক সমবায় সমিতির লিমিটেডের নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। আজিজুল হক বান্না দৈনিক মিল্লাতসহ কয়েকটি দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। মৃত্যুকালে ছিলেন দৈনিক সংগ্রামের সিনিয়র সহকারী সম্পাদক। এতে স্বনামে ছাড়াও ‘ফতেহ আলী টিপু’ নামে লিখতেন। একাধিক পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লিখতেন তিনি। প্রধানত জাতীয় রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি ছিল তার লেখার বিষয়। স্বকীয় ভাষাভঙ্গি এবং বক্তব্যের বলিষ্ঠতা, বিশ্লেষণ ও যুক্তির কারণে এই লেখাগুলো পাঠককে আকৃষ্ট করত। তিনি ছিলেন একজন সুলেখকও। মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা:-এর জীবনভিত্তিক একাধিক গ্রন্থসমেত তার লেখা বেশ কয়েকটি বই রয়েছে। ‘সমকাল সংলাপ’ নামে আজিজুল হক বান্না কলাম লিখতেন। দৈনিক সংগ্রামে তার সর্বশেষ লেখা এই কলামে প্রকাশ হয়েছে মৃত্যুর আগের দিন। এতেও স্বভাবসুলভ সুস্পষ্ট ও সাহসী উচ্চারণ ছিল তার। লেখার শিরোনাম ‘মধ্যবর্তী নির্বাচনের বাস্তবতা এবং ২০২১ সালের টার্গেট।’ বাংলাদেশের সঙ্ঘাতময় রাজনীতির চলমান বাস্তবতায় মনে হবে এটি বুঝি ২০১১ নয়, ২০১৯ সালের ২৩ মে, অর্থাৎ মাত্র গতকাল ছাপা হয়েছে। তিনি লিখেছেন, ‘সরকার সংসদে কিংবা প্রশাসনে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বা আচার-আচরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। সুশাসনের বদলে দলীয় চণ্ডনীতি, লুণ্ঠনবৃত্তি ও দলীয়করণের ভয়ঙ্কর থাবা বিস্তার করে কলঙ্কিত বাকশাল দুঃশাসনের পুনরাবৃত্তিতে তারা লিপ্ত।’ হ
মীযানুল করীম


আরো সংবাদ



premium cement
৭ খুন মামলার রায় কার্যকরের দাবি পরিবার ও আইনজীবীদের জামালপুরে শ্রেণিকক্ষে ফ্যান খুলে পড়ে শিক্ষার্থী আহত নিজ নিজ ম্যাচে জয়ী হয়ে লা লিগায় শীর্ষ চারের আরো কাছাকাছি এ্যাথলেটিকো ও জিরোনা নাগরপুরে ট্রাক্টর-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত অতি গরমে স্কুল বন্ধ রাখার ব্যাপারে যা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ইসলামপুরে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় আব্দুস সালাম চেয়ারম্যান নির্বাচিত দশমিনা ট্রাকচালককের হত্যা করে রড ছিনতাই : ২ দিনের রিমান্ডে শিক্ষক দূরদর্শনের লোগোর রং বদলে ‘গেরুয়া’ করা নিয়ে বিতর্ক মিরসরাইয়ে হিটস্ট্রোকে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু শিক্ষার্থীদের শাসনের ব্যাপারে শিক্ষকদের যে অনুমতি দিলো ভারতীয় হাইকোর্ট গাজা যুদ্ধে ব্যর্থতা : পদত্যাগ করছেন ইসরাইলি সেনাপ্রধান

সকল