বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দুর্দিনে আন্দোলন-সংগ্রামে এখনকার ডন কোথায় ছিলেন মন্তব্য করে ১৪ দলের মুখপাত্র ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আমাদের ব্যর্থতার কারণেই তারা আজ দলে ভিড়ার সুযোগ পেয়েছে। আন্দোলন সংগ্রাম ও মার খাওয়ার সময় তারা কোথায় ছিলেন, তাদের কাউকেই তখন দেখা যায়নি।
বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে গণতন্ত্রী পার্টি আয়োজিত ‘লুটেরাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াও: বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়ে তোল’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগে আসা বহিরাগতদের উদ্দেশ্যে নাসিম বলেন, এখন যেসব ডনরা সামনে পিছনে গাড়ি ও মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে মহড়া দেন তাদের কাউকেই আন্দোলন সংগ্রামের সময় খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন আলোচনা সভা ও সেমিনারে যাদের প্রথম সারিতে দেখি তাদের কাউকেই চেনা যায় না। তারা কারা। আমি বিশ্বাস করি এসব ডনদেরও বিচার হবে।
চলমান অভিযানের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শে এসব হচ্ছে, হবে। তিনি অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। যে বিএনপি সংসদকে অস্বীকার করেছিল তিনি তাদেরকে সংসদে নিয়েছেন।
রাজনৈতিক তোষামোদ কারীদের উদ্দেশ্যে নাসিম বলেন, অভিযানে যেন কোন বিঘ্নিত সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। দেখা যায় এমন লোকদেরও প্রশংসা করা হচ্ছে যারা প্রকৃতপক্ষে অভিযুক্ত। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে যাতে কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে।
আলোচনা সভায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, বাংলাদেশের দুর্নীতি আর দুর্বৃত্তায়নের শিকড় কত গভীর তা আমরা আজ খালি চোখে দেখতে পাচ্ছি। এসবের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। প্রশাসনকে অনিয়ম দুর্নীতি যেভাবে আকড়ে ধরেছে তা থেকে বের করে আনা প্রয়োজন। দেশকে যদি আমরা অনিয়ম দুর্নীতি থেকে বের করে আনতে পারি তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন তাতে যদি জয়লাভ করতে পারি তাহলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়া আমাদের পক্ষে সহজ হবে।
আলোচনা সভায় গণতন্ত্রী পার্টির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মাহমুদুর রহমান বাবুর সভাপতিত্বে সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া ও ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা