২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


অফশোর ব্যাংকিং বিল সংসদে উত্থাপন, একদিনের মধ্যে পর্যালোচনা প্রতিবেদন জমার নির্দেশ

অফশোর ব্যাংকিং বিল সংসদে উত্থাপন, একদিনের মধ্যে পর্যালোচনা প্রতিবেদন জমার নির্দেশ - ছবি : ইউএনবি

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো এবং বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে সংসদে অফশোর ব্যাংকিং বিল ২০২৪ উত্থাপন করা হয়েছে।

শনিবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বিলটি উত্থাপন করেন। পরে অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে একদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

প্রস্তাবিত আইন অনুসারে, কোনো অনাবাসিক ব্যক্তি বা বিদেশী সংস্থা বিনিয়োগ করতে চাইলে তারা অফশোর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে।

অফশোর ব্যাংকিং করতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইসেন্সের প্রয়োজন হয়। যারা এই লাইসেন্স পেয়েছেন তাদের আর নতুন লাইসেন্স নিতে হবে না।

যে পাঁচটি মুদ্রা দিয়ে অফশোর ব্যাংকিং করা যাবে- মার্কিন ডলার, পাউন্ড, ইউরো, জাপানিজ ইয়েন ও চীনা ইয়েন।

বিদেশে বসবাসরত একজন বাংলাদেশীর যেকোনো আত্মীয় একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে এবং একজন সমর্থক হিসেবে অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে পারেন।

বর্তমানে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং ব্যবস্থায় যারা অর্থ জমা করেন, তাদের দেশ থেকে টাকা পাঠানোর অনুমতি প্রয়োজন। কিন্তু অফশোর ব্যাংকিং-এর ক্ষেত্রে তারা কোনো অনুমতি ছাড়াই দেশে টাকা পাঠাতে পারবেন।

অফশোর ব্যাংকিংয়ের পদক্ষেপটি শুধু রিজার্ভ বাড়ানোর জন্য নয়, আর্থিক সুবিধা লাভের জন্যও।

যদি কেউ অফশোর ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে টাকা রাখে, টাকার উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে না।

বিদেশে বসবাস করা ব্যক্তি বা সংস্থা বা বিদেশীদের প্রস্তাবিত আইনে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি দেয়া হবে।

প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশে কর্মরত তফসিলি ব্যাংক ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে অফশোর ব্যাংকিং ব্যবসা করতে দেয়া হবে না।

প্রস্তাবিত আইনে আরো বলা হয়, অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার আলোকে সংশ্লিষ্ট শিডিউল ব্যাংকের জন্য ব্যাংক বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত নীতিমালা থাকতে হবে।

তফসিলি ব্যাংকগুলোর অফশোর ব্যাংকিংয়ের জন্য অ্যাকাউন্টের পৃথক বই ব্যবহার করা হবে; যা আর্থিক ও অন্যান্য ক্রিয়াকলাপগুলো যাচাইয়ের জন্য ব্যবহার করা হবে।

অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রমের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সম্পদ দায় ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা প্রযোজ্য হবে।

প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ অনুমোদনে দেশীয় ব্যাংকিং ইউনিট থেকে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে তহবিল স্থানান্তর করা যেতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত সব ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড সীমা তফসিলি ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

তফসিলি ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং ব্যবসায় বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশিত সব ধরনের প্রতিবেদন জমার ধরন প্রযোজ্য হবে।

বিলে প্রস্তাব করা হয়েছে, অফশোর ব্যাংকিং ব্যবসায় আমানতকারী বা বিদেশী ঋণদাতাদের দেয়া সুদ বা মুনাফা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর থেকে অব্যাহতি পাবে।

আমানতকারী বা বিদেশী ঋণদাতাদের অ্যাকাউন্ট যেকোনো শুল্ক ও কর থেকে অব্যাহতি পাবে।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement