সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে গাড়ী চালকসহ সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের নিয়োগপত্র দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিবহন মালিকরা। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মঙ্গলবার এই তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বৈঠকে জানান, এর ফলে পরিবহন শ্রমিকরা যেমন জবাবদিহিতার আওতায় আসবেন তেমনি পরিবহন মালিকদের দায়িত্ব বাড়বে।
বৈঠক শৈষে কমিটির সভাপতি মো. মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের বলেন, পরিবহন শ্রমিকদের নিয়োগপত্র দেয়ার বাধ্যবাধকতা আছে। কিন্তু মালিকপক্ষ তা দিচ্ছে না। এ বিষয়টি বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের পত্র দেয়ার জন্য কমিটি সুপারিশ করেছে।
খন্দকার এনায়েত বলেন, আইনেই পরিবহন শ্রমিকদের নিয়োগপত্র দেয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে এটি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। আমরা বৈঠকে সবাইকে নিয়োগপত্র দেয়ার ব্যপারে ঐকমত্য পোষণ করেছি।
বৈঠকে জানানো হয়, শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে সংঘটিত দুর্ঘটনায় ২০১৯ সালে নিহত ১৯ জন শ্রমিকের পরিবারকে মালিকপক্ষ থেকে ক্ষতি পূরণ দেয়া হয়েছে মোট ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা দেয়া হয়। ২০১৮ সালে ১৭ জন শ্রমিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৮৫ লাখ এবং ২০১৭ সালে ১৬ জন শ্রমিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৮০.২৫ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে।
সংসদ সচিবালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে ব্যক্তি মালিকানাধীন সড়ক পরিবহন শ্রমিক কল্যাণ তহবিল বোডের নিয়ন্ত্রণ, বোর্ডকে আরও যুগোপযোগী ও বাস্তবসম্মত করার লক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং বিআরটিএ-এর উপযুক্ত প্রতিনিধির সমন্বয় একটি কমিটি গঠনে সুপারশ করা হয়। এ কমিটি গঠনের অগ্রগতি কী তা কমিটির আগামী বৈঠকে উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।
কমিটির সভাপতি মো. মুজিবুল হকের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান, শাজাহান খান, মো. ইসরাফিল আলম এবং শামসুন নাহার অংশ নেন।
বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন সংস্থা প্রধানরা, সড়ক পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা, মন্ত্রণালয় এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা