‘নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ’-এর আলোকে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের উইমেনস অ্যাসোসিয়েশন বর্নীল আয়োজনে উদযাপন করলো নারী দিবস। আলোচনায় বক্তারা বলেন, কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহন বাড়লেও নারীরা উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত হতে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার শিকার হতে হয়। যেমন বীজ ও সেচ বিভাগ থেকে প্রকল্প পরিচালক হওয়ার সক্ষমতা থাকা সত্তেও সে পদগুলো নারীরা পাচ্ছে না। প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধাচার পুরষ্কার প্রদানেও নারীরা বঞ্চিত হচ্ছে অথচ তাদের সেই যোগ্যতা রয়েছে।
রাজধানীর দিলকুশাতে বিএডিসি’র প্রধান কার্যালয় কৃষি ভবনে সোমবার নারী দিবসের এক আলোচনা বক্তারা এই অভিমত জানান। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের উইমেনস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও মহাব্যবস্থাপক (তদন্ত) সেরিনা সারমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, যুগ্ম পরিচালক (পাট বীজ) মনিরা রহমান, নিয়ন্ত্রক অডিট রুনা লায়লা, সহকারী ব্যবস্থাপক (অর্থ) সোনিয়া আক্তার, এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদকসহ অনেকে। উপস্থিত ছিলেন এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদকসহ কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যান্য সদস্যরা ও বিএডিসি’র সর্বস্তরের নারী কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা।
কেককাটা, বর্নীল আনন্দঘন পরিবেশ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে দিবসটি উদযাপিত হয়। অ্যাসোসিয়েশন নারীদের বিশেষ শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় বিএডিসির চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ সাজ্জাদকে।
মনিরা রহমান বলেন বিনা পারিশ্রমিকে মেয়েরা ঘরে বাহিরে কাজ করছে। কিন্ত তাদের কাজের কোন মূল্যায়ন হয় না।
রুনা লায়লা বলেন, প্রমোশনের দিক দিয়ে নারীকে কেবল নারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অথচ পুরুষ ও নারী উভয়ই কিন্ত বিএডিসির উন্নয়নে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
সোনিয়া আক্তার বলেন, আমাদের সমাজে মূলত প্রাচীন যুগ থেকেই নারীকে গঠনগত দিক থেকে দূর্বল ভাবা হয়। কঠিন ও শ্রমসাধ্য কাজ নারীকে দিয়ে সম্ভব হবে না বলেই ধরে নেয়া হয়। আবার নারী যদি সে কাজ সঠিকভাবে সম্পাদন করে তবু কটুকথা থেকে পরিত্রাণ পায় না। নারীর সাথে সমাজের কেমন জানি একটা লুকোচুরির সম্পর্ক। ফলে নারী যতই তার জীবনের লক্ষ্যের দিকে এগুতে থাকে, ততই তাকে টেনে নিচে নামানোর পাঁয়তারা চলে। কিন্ত বর্তমান সরকার নারী উন্নয়নে বদ্ধপরিকর।
সভাপতি মেরিনা সারমীন বলেন. আমাদের এখানে যে বৈষম্য রয়েছে তা নিরসন করা এখন সময়ের দাবি। প্রতিটি অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে নারী নির্যাতন রোধ করা সম্ভব হবে না। আমাদের দেশের সার্বিক উন্নয়নের সাথে নারী নির্যাতনের চিত্রটি একেবারেই মেলানো যাই না, এখনও কেন নির্যাতন হবে? তাই যেখানেই নির্যাতন হবে সেখানেই আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আর এক্ষেত্রে আমাদের বেশি সহযোগিতা প্রয়োজন পুরুষদের নিকট থেকে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা