২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

‘দাদাবাড়ির অধিকার’ বনাম ‘মামাবাড়ির আবদার’

-

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং এক যুগ ধরে লন্ডন প্রবাসী তারেক জিয়ার মায়ের বাড়ি বৃহত্তর নোয়াখালী জেলায় (ফেনীর ফুলগাজী) হওয়ায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতু ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সাথে তার সম্পর্ক জেলাতো ‘মামা-ভাগ্নে’ বলা চলে। মজার ব্যাপার হলো, বিএনপির যেকোনো রাজনৈতিক দাবিকে তিনি ‘মামাবাড়ির আবদার’ বলে হেসে উড়িয়ে দিয়ে থাকেন। যেমন এবার ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি সর্বকালের সর্বনিম্ন হওয়ায় বিএনপির পুনর্নির্বাচনের দাবিকে একই কথা বলে নাকচ করে দিয়েছেন। এ দুই নির্বাচনে প্রকৃত ভোটার উপস্থিতি ১৭ শতাংশ হলেও ইভিএমে ভোট গ্রহণের মাজেজায়, এর প্রবর্তক প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আঙুলের ছাপ ইভিএম প্রত্যাখ্যান করায় তিনি প্রিজাইডিং অফিসারের সহায়তায় তার ভোটদানে সফল হওয়ার পর তার মতো ভোটারদের অসুবিধার কথা চিন্তা করেই তিনি ১০ শতাংশ ভোটারের ভোট প্রিজাইডিং অফিসারদের ওপর অর্পণ করেছিলেন। বিকেল ৩টা পর্যন্ত মাত্র ১৭ শতাংশ ভোট পড়ায় প্রিজাইডিং অফিসাররা শেষ ১ ঘণ্টায় সেই অর্পিত ক্ষমতা প্রয়োগের পক্ষ হয়ে কাস্ট করায় ভোটার উপস্থিতি ২৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছিল। এই ১০ শতাংশ ভোটের শতভাগ ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে যাওয়ায় ঢাকা দক্ষিণের মেয়রপ্রার্থী ও প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কিত ভাতিজা শেখ ফজলে নূর তাপস ১৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হলেন। তবে প্রিজাইডিং অফিসারদের ‘অনুদান’ ১০ শতাংশ ভোট বাদে তার প্রাপ্ত প্রকৃত ভোট দাঁড়ায় (১৭-১০) ৭ শতাংশ। এটা তার প্রতিদ্বন্দ্বী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের প্রাপ্ত ভোট ৮.৯৬ শতাংশের চেয়ে (৮.৯৬-৭) ১.৯৬ শতাংশ কম হওয়ায় নির্বাচনে প্রকৃতপক্ষে জয় ধানের শীষেরই হয়েছে মনে করতে হয়। অনুরূপভাবে উত্তরের প্রার্থী আতিকুল ইসলামের প্রাপ্ত ভোট ১৪.৯ শতাংশ হওয়ায় ওই ১০ শতাংশ বাদে তার প্রাপ্ত ভোট ছিল (১৪.৯-১০) অর্থাৎ মাত্র ৪.৯ শতাংশ। তার প্রতিদ্বন্দ্বী তাবিথ আউয়ালের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৭.৯ শতাংশ, যা সরকারদলীয় মেয়রপ্রার্থীর চেয়ে (৭.৯-৪.৯) ৩ শতাংশ বেশি হওয়ায় আতিকুল জেতারও কথা ছিল না। নির্বাচনী ফলাফলের এই সূক্ষ্ম ইভিএম কারচুপি ব্রিটিশ পদ্ধতিতে হিসাব-নিকাশ করেই লন্ডন প্রবাসী তারেক তার দলকে পুনর্নির্বাচন দাবি করতে বলায় দল সেই দাবি জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের এই দাবিকে ‘মামাবাড়ির আবদার’ বলে হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন।

মাত্র সাত মাস আগে অনুষ্ঠিত ভারতের লোকসভা নির্বাচনে রাজধানী দিল্লির সাতটি আসনেই বর্তমানে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি জয়ী হলেও গত ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের অসন্তুষ্ট ভোটাররা আম আদমি পার্টির পক্ষে ভোট দেয়ায় ওই পার্টি ৬২টি আসনে জয়ী হয়েছে। বিজেপি পেয়েছে মাত্র আটটি আসন। বাংলাদেশে মাত্র ১৩ মাস আগে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা শহরের ১৫টি আসনসহ আওয়ামী লীগ দেশব্যাপী ২৯২টি আসনে ‘এক লাখ থেকে চার লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে জয়ী’ হয়েছিল। ওই নির্বাচনে ফজলে নূর তাপস ও হাজী সেলিম এমপি মিলিতভাবে যে ভোট পেয়েছিলেন, মেয়র নির্বাচনে তাপসের প্রাপ্ত ভোট তার চেয়ে অনেক কম হওয়ায় প্রশ্ন জাগে, সাতটি আসন নিয়ে গঠিত দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাকি পাঁচ আসনের এমপিদের ভোট কোথায় হাওয়া হয়ে গেল? অনুরূপভাবে আটটি আসন নিয়ে গঠিত উত্তরের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলামের প্রাপ্ত ভোট ইলিয়াস মোল্লা এমপি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের প্রাপ্ত ভোটের চেয়ে অনেক কম হওয়ায় জিজ্ঞাসা করি, বাকি ছয় এমপির ভোটের হদিস নেই কেন? প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে এই ১১ এমপির ভোটার নৌকায় ভোট দিলে বিএনপির পক্ষে পুনর্নির্বাচনের ‘মামাবাড়ির আবদার’ করা সম্ভব হতো না। তাই এই ফলাফল থেকে প্রতীয়মান হয়, মাত্র ১৩ মাস আগে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের শূন্য (জিরো) আওয়ারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে যে ‘ভোটবিপ্লব’ দেখানো হয়েছিল, তাতে দিনের চেয়ে রাতে ভোট কাস্টিং বেশি হওয়ায় ১ ফেব্রুয়ারি ভোট বিপর্যয় ঘটেছে বলে ঢাকাবাসী মনে করেন। তাই ওই ভোটের ব্যালটে ভোটারদের টিপসই/স্বাক্ষর আছে কি না তা যাচাই করে দেখার জন্য জোরালো দাবি ওঠার পরও গত এক বছরেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার তা করার সাহস করেননি। স্মরণযোগ্য যে, ১৯৯৩ সালে ঢাকার মিরপুরের উপনির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আওয়ামী লীগের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ ঢাকা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সব দলের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ভোট পুনঃগণনা করে সব সন্দেহের অবসান ঘটিয়েছিলেন। বর্তমান সিইসি সিটি করপোরেশন নির্বাচন ব্যালটের পরিবর্তে ইভিএমে ভোট গ্রহণের একক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছেন। ভোটাররা ব্যঙ্গ করে এই যন্ত্রকে ইভিল ভোট মেশিন বলে আখ্যায়িত করছে।

৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের স্টেজ রিহার্সেল করা হয়েছিল রাজশাহী, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। তার পরও গাজীপুর ও বরিশালে জয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে না পারায় নির্বাচন পিছিয়ে দেয়া হয়েছিল। সিলেটে শাসক দলের প্রার্থী ‘পারফেক্ট জেন্টেলম্যান’ হওয়ায় তিনি মাত্র পাঁচ হাজার ভোটের জন্য ভোট ডাকাতদের কাছে আত্মসমর্পণ না করায় তাকে পরাজয় বরণ করতে হয়েছিল। বরিশালে জয়লাভ যে সম্ভব নয়, তা পূর্বাহ্ণে নিশ্চিত হওয়ায় প্রার্থী পরিবর্তন করে প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়কে মনোনয়ন দেয়ার ঘটনা ঘটে। বরিশাল নগরবাসীসহ প্রশাসন, পুলিশ ও পোলিং অফিসারদের পরোক্ষভাবে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছিল, বরিশাল শহরের উন্নয়ন চাইলে এবং এই সরকারের বাকি মেয়াদে ভালোভাবে চাকরি করতে হলে কী করতে হবে। দৃশ্যত একই পদ্ধতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রেও অনুসরণ করা হয়েছে। গাজীপুরের নির্বাচনে যখন দেখা গেল কোনো ফর্মুলাই কাজ দিচ্ছে না, তখন পুলিশ তার বিখ্যাত ডায়ালগ ‘ইউ আর আন্ডার অ্যারেস্ট’ থেরাপি বিএনপির সমর্থক প্রভাবশালীদের ও এজেন্টদের ওপর প্রয়োগ করায় তারা ‘ভিক্ষা চাই না কুত্তা সামলান’ বলে এলাকা ত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন। একই থেরাপি ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে প্রয়োগের সুফলভোগী বর্তমান সরকার। পুলিশের আইজিপি পুলিশকে জনগণের বন্ধু হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। নির্বাচনকালীন ১০০ শতাংশ জনগণের বন্ধু হওয়ার সুযোগ তারা পেলেও একমাত্র তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের সময় ব্যতীত দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনকালীন পুলিশ তা প্রদর্শনে ব্যর্থ। ১৭ কোটি জনসংখ্যার দেশে যদি ন্যূনতম ১০ শতাংশ মানুষ প্রতি বছর থানায় মামলা করতে আসে, তাহলে ৬০০ থানাকে বছরে ১ কোটি ৭০ লাখ মামলা নিতে হয়। এই ১০ শতাংশের পক্ষে সরকারদলীয় স্থানীয় কোনো নেতার জোর তদবির থাকলেই পুলিশ ওই মামলা গ্রহণ করে থাকে, নচেৎ নয়। তাহলে বাকি ১৫ কোটি ৩০ লাখ জনগণের বন্ধু হওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব কি?

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেয়ার দাবি ‘মামাবাড়ির আবদার’ বলে নাকচ করে দেয়ায় ১৪ দলীয় জোট ব্যতীত আর কোনো দল সে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় ১৫৪টি আসনে ব্যালট বক্স, ব্যালট পেপার ও ভোটার তালিকার প্রয়োজন পড়েনি। বাকি ১৪৬টি আসনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও পুলিশ এবং পোলিং অফিসার ব্যতীত কোনো ভোটার না থাকায় ভোটার তালিকা ব্যতীতই ভোট নেয়া হয়েছিল। স্থূল কারচুপির কারণে ২০১৮ সালে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের দাবিকেও ‘মামাবাড়ির আবদার’ বলে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। ৩০ ডিসেম্বরের আগে সংসদ ভেঙে দেয়ার দাবিকেও ‘মামা বাড়ির আবদার’ বলে উড়িয়ে দিয়ে তা ‘দাদাবাড়ির অধিকার’ মনে করা হয়েছিল। বিরোধী দলে থাকাকালে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি ছিল তাদের ‘দাদাবাড়ির দাবি’। তাই ১৯৯৪ সালে সংসদ থেকে পদত্যাগ করে ১৭৩ দিন হরতাল দিয়ে সরকারি কর্মচারীদের বিদ্রোহ ঘটিয়ে ৩০ মার্চ ১৯৯৬ এ দাবি আদায় করে নির্বাচনের আগেই জয় নিশ্চিত করা হয়। তখন ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনে পরাজিত হয়ে ২০০৭ সালে ‘এক-এগারো’ এবং বেসামরিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পতন ঘটিয়ে আধা সামরিক সরকারকে বসিয়ে নির্বাচনের আগেই জয় শতভাগ নিশ্চিত করা হয়। এ অবস্থায় ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা হয়। আধা সামরিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি ছিল ‘দাদাবাড়ির দাবি’। ভবিষ্যতে কোনো নির্বাচনে যাতে পরাজয় বরণ করতে না হয় তার জন্য ৩০ জুন ২০১১ সংবিধান সংশোধন করে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করে নিজেরা ক্ষমতায় থেকে ‘দাদাবাড়ির অধিকার’ প্রতিষ্ঠার কারণেই আজ ‘মামা’রা ক্ষমতায় আর ‘ভাগ্নে’রা রাস্তায়। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ভাগ্নের দল যাতে কোনো ক্রমেই ভাসুরের দলকে ডিঙ্গিয়ে বিরোধী দলের আসন দখল করতে না পারে তা নিশ্চিত করতেই পুলিশ বাহিনীকে রাস্তা টহলের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে নিয়ে মহল্লায় মহল্লায়, গ্রামে গ্রামে ও পাড়ায় পাড়ায় অভিযান পরিচালনায় নিয়োজিত করা হয়েছিল। পুলিশ যথারীতি গাজীপুর স্টাইলে অভিযান চালিয়ে বিএনপির সমর্থকদের ও এজেন্টদেরকে বাড়িছাড়া ও কেন্দ্রছাড়া করে ছেড়েছিল। যেখানে মওদুদ আহমদ ও মাহবুব উদ্দিন খোকনের মতো ডাকসাইটে নেতারা নির্বাচনকালে এলাকায় টিকতে পারেননি, সেখানে সাধারণ ভোটারদের অবস্থা কিরূপ ছিল তা সহজেই অনুমেয়। জাপার জন্য বিরোধী দলের আসন নিশ্চিত করতে ৩০০ আসনেই ৩০ ডিসেম্বর জিরো আওয়ারেই অস্বচ্ছ ব্যালট কেটে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স পূর্তির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তারপরও বেয়াড়া ভাগ্নেরা যাতে ভোটের ভাগ নেয়ার জন্য কেন্দ্রে ঢুকতে না পারে, সেজন্য কেন্দ্রের চারপাশে ‘মামাবাহিনী’র লাঠি হাতে ও পুলিশ অস্ত্র হাতে দ্বিস্তর-বিশিষ্ট নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছিল। বিএনপি ও গণফোরামের আটজন প্রার্থী জয়ী হলেও এক ছেলে ঘরে ফিরে যাওয়ায় সাতটি আসন নিয়েই ভাগ্নেকে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে।

‘মামাবাড়ির আবদার’ উপেক্ষা করে ‘দাদাবাড়ির অধিকার ভোগ করার মাধ্যমে ‘ভাগ্নে’দের দূরে সরিয়ে রাখতে গিয়ে জনগণকেও দূরে সরিয়ে দেয়া হয়েছে, তা মামার দল বুঝতে পারেননি বা বুঝেও না বোঝার ভান করছেন। জনগণের রাস্তায় নেমে না আসাকেই জনগণ তাদের পক্ষে আছে বলে দাবি করার যুগ বাসি হয়ে গেছে। ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে ক্ষমতাসীনদের পাঁচ বছরের কর্মকাণ্ডে অসন্তুষ্ট হয়ে জনগণ ব্যাপক হারে ভোট দিয়ে তাদের যারা পরাজিত করতে পারে, সে প্রার্থীদের পক্ষে ভোট দিয়েছে। তদানীন্তন পাকিস্তানের ২৪ বছরে কেন্দ্রীয় নির্বাচনে ১৯৭০ সালে জনগণ একবারই ভোট দেয়ার সুযোগ পেয়েছিল। তখনই ৮১ শতাংশ অক্ষরজ্ঞানহীন ভোটার সেই সুযোগ কাজে লাগানোর সুফল হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উত্থান এবং আমাদের মহান স্বাধীনতা।

১৯৯১ সালে জনপ্রত্যাখ্যাত দল ও ২০০১ সালের প্রত্যাখ্যাত দল এক জোট হয়ে জনগণের অবাধে ভোট দানের সুযোগ সঙ্কুচিত করার ক্ষোভে তারা ফুঁসছে।


আরো সংবাদ



premium cement