২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চীনের হুঁশিয়ারির মধ্যেই নিউ ইয়র্কে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট

সাই ইং-ওয়েন -

যুক্তরাষ্ট্রকে গুরুতর প্রতিক্রিয়া দেখানোর হুঁশিয়ারি দেয়া চীনের কঠোর সমালোচনার মধ্যেই মধ্য আমেরিকা যাওয়ার পথে নিউ ইয়র্কে নেমেছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। মধ্য আমেরিকা সফরে যাওয়া আসার পথে সাইয়ের দু’বার যুক্তরাষ্ট্রে ‘ট্রানজিট’ বা বিরতি নেয়ার সূচি আগে থেকেই ঠিক করা আছে। ফিরতি পথে ক্যালিফোর্নিয়ায় যাত্রাবিরতি নেবেনে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট, তখন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাককার্থির সাথে তার বৈঠকও হতে পারে।
তাইওয়ানকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন প্রদেশ দাবি করে আসা চীন এ ধরনের বৈঠকের নিন্দা জানিয়ে আসছে; সাই-ম্যাককার্থি সম্ভাব্য ওই বৈঠকটি হলে তা ‘গুরুতর সঙ্ঘাতের’ দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তারা। এর পাল্টায় যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, সাইয়ের সফর নিয়ে বেইজিংয়ের মাত্রাতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত নয়। ‘যুক্তরাষ্ট্র একটি স্বাভাবিক, ঘটনাহীন যাত্রাবিরতি দেখার আশা করছে’ বুধবার এমনটিই বলেছেন হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মুখপাত্র জন কারবি।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এটা যুক্তরাষ্ট্রে সাইয়ের সপ্তম ‘ট্রানজিট’ বা যাত্রাবিরতি বলে জানিয়েছেন তিনি। ‘এটি নিয়মিতই হচ্ছে। তাইওয়ানের অন্যান্য প্রেসিডেন্টও যুক্তরাষ্ট্রের যাত্রাবিরতি নিয়েছে। এটার মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু নেই’ এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেছেন কারবি। ১৯৯৪ সালে প্রথম তাইওয়ানের ক্ষমতাসীন কোনো প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রাবিরতি নেয়ার পর সাইয়েরটা হচ্ছে ২৯তম ট্রানজিট।
বুধবার নিউ ইয়র্কে নামার পর হোটেলকক্ষের বাইরে সমর্থকদের জমায়েত সাইকে বরণ করে নেয়, কিন্তু বিরোধীরা সেখানে বিক্ষোভ দেখায়। মধ্য আমেরিকার মিত্রদের সাথে সম্পর্ক মজবুত রাখার লক্ষ্যে গুয়াতেমালা ও বেলিজে যাচ্ছেন সাই, ফেরার পথে লস অ্যাঞ্জেলেসে যাত্রাবিরতির সূচি আছে তার। সেখানেই তার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের বৈঠক হতে পারে বলে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যমগুলো।
সাই নিউ ইয়র্কে পৌঁছানোর পর দেয়া প্রতিক্রিয়ায় ওয়াশিংটনে নিযুক্ত চীনের ঊর্ধ্বতন দূত যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করার’ অভিযোগ এনেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রাবিরতি নিতে দিয়ে সাইকে স্বশাসিত দ্বীপটিতে ‘চমক দেখানোর’ সুযোগ করে দিয়েছে ওয়াশিংটন, বলেছেন তিনি। ‘তাইওয়ানের নেতার যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া কিংবা মার্কিন নেতাদের তাইওয়ান সফর, যেটাই হোক না কেন, এগুলো চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে আরেকটি গুরুতর, গুরুতর, গুরুতর সঙ্ঘাতের দিকে ঠেলে দিতে পারে’ সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন চীনের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জু জুয়েউয়ান।


আরো সংবাদ



premium cement