২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা, নিহত ১৭

ইরাকে মার্কিনিদের ওপর হামলার জবাব
-

সিরিয়ায় বেশ কিছু সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অনুমতি নিয়ে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন বাহিনী। এ হামলায় অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছে। হামলায় অনেক স্থাপনাও ধ্বংস হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, সিরিয়ার স্থাপনাগুলো ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ব্যবহার করত। সম্প্রতি ইরাকে মার্কিনিদের লক্ষ্য করে রকেট হামলার জবাবে এই বিমান হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। মার্কিন মুখপাত্র জন কিরবি এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নির্দেশে রাতে পূর্ব সিরিয়ায় ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। তিনি বলেছেন, ইরাকে মার্কিন ও জোট কর্মকর্তাদের ওপর সাম্প্রতিক হামলা এবং ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত হুমকির জবাবে এই হামলার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
কিরবি জানিয়েছেন, মার্কিন বাহিনী হামলা চালিয়ে কাতায়্যিব হিজবুল্লাহ (কেএইচ) ও কাতায়িব সাইয়্যিদ আল-শুহাদার (কেএসএস) মতো ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি স্থাপনা ধ্বংস করে দিয়েছে। এ হামলায় অন্তত ১৭ জন ইরানপন্থী যোদ্ধা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ব্রিটেনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস। যুদ্ধপরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী এ সংস্থার রামি আবদুর রাহমান বলেছেন, হামলায় গোলাবারুদ ভর্তি তিনটি লরি ধ্বংস হয়েছে। হতাহত হয়েছে অনেক।
যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলার প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ইরাকের ইরবিল বিমানবন্দরের ভেতরে সামরিক জোটের প্রধান ঘাঁটিতে রকেট হামলা হয়েছিল। এতে এক বিদেশী বেসামরিক ঠিকাদার নিহত এবং এক মার্কিন সেনাসহ অন্তত ৯ জন আহত হন। আওলিয়া আল-দাম নামে একটি গোপন সংগঠন গত ১৫ ফেব্রুয়ারির ওই হামলার দায় স্বীকার করে এবং ইরাকে মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলা অব্যাহত রাখার হুমকি দেয়। এর কয়েক দিন যেতে না যেতেই বাগদাদের উত্তরাঞ্চলে মার্কিন বাহিনীর আরেকটি ঘাঁটিতে আবারো হামলা হয়। এতে অন্তত একজন ঠিকাদার আহত হয়েছিলেন। এ ছাড়া গত সোমবার বাগদাদের গ্রিন জোনেও রকেট হামলা হয়েছে। ওই এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশের দূতাবাস রয়েছে।
পশ্চিমাদের দাবি, অল্প পরিচিত গোষ্ঠীগুলো মাঝে মধ্যে হামলার দায় স্বীকার করলেও সেগুলো মূলত পরিচালিত হয় কাতায়িব হিজবুল্লাহর যোগসাজশে। তারা এমনটি করে যেন, মার্কিন বাহিনীর ক্ষতি করার দায় ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীর কাঁধে না বর্তায়। পেন্টাগনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সামরিক জোটের শরিকদের সাথে পরামর্শক্রমেই সিরিয়ায় বৃহস্পতিবারের হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।


আরো সংবাদ



premium cement