২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ফাঁসি দিলেও কাশ্মির নিয়ে সংগ্রাম চলবে : ফারুক আবদুল্লাহ

কাশ্মির নিয়ে নিজের অনড় অবস্থানের কথা জানালেন রাজ্যের প্রাক্তন এই মুখ্যমন্ত্রী
-

ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের পর কাশ্মিরবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়ে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। আর এর বিরোধিতা করেই দীর্ঘ প্রায় এক বছরের বন্দিদশা বরণ করতে হয় জম্মু-কাশ্মিরের ন্যাশানাল কনফারেন্সের সভাপতি ও রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ। কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছেন ফারুকসহ মেহবুবা মুফতি, সাজাজ লোনের মতো একাধিক প্রথমসারির নেতৃত্বরাও। কিন্তু কিছুতেই কেন্দ্রের তোপ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি কেউ। তবে বিজেপি সরকারের নিশানায় দাঁড়িয়েও তিনি কাশ্মির নিয়ে নিজের অনড় অবস্থানের কথা বলেন।
৩৭০ ধারা বিলোপ প্রসঙ্গে ফের সরব জম্মু-কাশ্মিরের এই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করে ৮২ বছরের ফারুক আবদুল্লাহ বলেন, ‘একটি জিনিস মনে রাখবেন, আমাদের অনেক দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে হবে। এটি আসলেই একটা দীর্ঘ লড়াই।’
৩৭০ ধারা বিলোপের কট্টর বিরোধিতা করে এ দিন তিনি আরো বলেন, ‘ফারুক আবদুল্লাহ বেঁচে থাকুক বা মারা যাক, তারপরও আমাদের সংগ্রাম চলবে। আমাদের সঙ্কল্প বদলায়নি। আমাকে ফাঁসি দেয়া হলেও আমাদের সঙ্কল্প কখনোই বদলাবে না।’
এ দিকে কেন্দ্র সরকারকে নিশানা করে ফারুকের এই জ্বালাময়ী বক্তব্য যে কাশ্মিরে বিজেপিকে বেশ কিছুটা চাপে ফেলবে তা বলাই বাহুল্য। এ দিকে ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট পার্লামেন্টে বিশেষ বিল এনে তুলে দেয়া হয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা। যার জেরে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা হারায় জম্মু-কাশ্মির। রাস্তায় নামেন লাখ লাখ মানুষ। এমতাবস্থায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে জননিরাপত্তা আইন বলে ফারুক-মেহবুবা-সাজাদসহ নেতা-নেত্রীদের গৃহবন্দী করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের তোপের মুখে পড়ে এক এক করে প্রায় এক বছর পর ছাড়া হয় ফারুক-মেহবুবা-সাজাদদের। এরপরেই ন্যাশনাল কনফারেন্স-পিডিপি জোট বদ্ধ হয়ে কাশ্মিরের হৃত অধিকার ফিরিয়ে আনতে জোটবদ্ধ হয়। তৈরি হয় ‘পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকর ডিক্লারেশন’। ৩৭০ ধারা বিলোপ প্রসঙ্গে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রামের ডাক দেন মেহবুবা-সাজাদরাও।

 


আরো সংবাদ



premium cement