০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বৈরুত বিস্ফোরণ

সরকারের কাছে জবাব চেয়ে লেবাননে বিক্ষোভ

বৈরুতে বিস্ফোরণের জন্য অবহেলার অভিযোগ এনে বিক্ষোভকারীরা সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছে : ইন্টারনেট -

ঝুঁকি জেনেও অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের মতো মারাত্মক দাহ্য পদার্থ কেন বছরের পর বছর ফেলে রাখা হয়েছিল তার জবাব চেয়ে লেবাননের সরকারবিরোধী বিক্ষোভ করেছে হাজারো মানুষ। দেশটির পার্লামেন্টের কাছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিক্ষোভ শুরু হলে পুলিশ তাদের থামাতে টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে। অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট মারাত্মক দাহ্য, যেকোনো সময় ঘটতে পারে বিস্ফোরণ। সব জেনেও বৈরুত বন্দরের কাছের একটি গুদামে ২০১৩ সাল থেকে দুই হাজার ৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট অনিরাপদ অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছিল।
যা থেকেই গত মঙ্গলবার বিকেলে ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের ধাক্কায় পুরো বৈরুত শহর ভূমিকম্পের মত কেঁপে ওঠে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ। রাজধানী বৈরুতের অর্ধেকই ধুলিসাৎ হয়েছে গেছে। এখনো নিখোঁজ বহু মানুষ। তাই হতাহতের সংখ্যাও বাড়বে। তিন লাখের বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানায় দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এনএনএ, যাদের মধ্যে বন্দরের মহাব্যবস্থাপকও রয়েছেন। বিস্ফোরণের পর বুধবার এমপি মারওয়ান হামাদহ পদত্যাগ করেন। আরো দুই শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাও পদত্যাগ করেছেন।
এ ঘটনা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেশটির নেতৃত্বে পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা দেখিয়ে দিয়েছে বলে মনে করেন জর্দানে নিযুক্ত লেবাননের রাষ্ট্রদূত ট্রেসি শামৌন। তিনি নিজেও বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেন। বৈরুতে বিস্ফোরণের পর আন্তর্জাতিক নেতাদের মধ্যে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রো প্রথম লেবানন সফর করেছেন। বৃহস্পতিবার বৈরুতের অবস্থা পরিদর্শনের সময় তিনি বলেন, লেবাননে দেশ পরিচালনায় ‘বড় ধরনের’ পরিবর্তন প্রয়োজন। এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বানও জানান তিনি। ফ্রান্সের একটি উদ্ধারকারী দল বৈরুতে উদ্ধার কাজে অংশ নিচ্ছে।
গুদামে কিভাবে এলো অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’ জানায়, লেবাননের কর্মকর্তারা বিস্ফোরণের জন্য যে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটকে দুষছেন, সেটি আসলে লেবাননের নয় বরং রাশিয়ার মালিকানাধীন একটি পণ্যবাহী জাহাজে করে লেবাননে পৌঁছেছিল। ছয় বছরেরও বেশি সময় আগের ওই ঘটনায় মোজাম্বিকে যাওয়ার পথে থাকা ওই রুশ জাহাজ ফুটো হয়ে যাওয়ায় লেবাননের রাজধানী বৈরুতের বন্দরে ভিড়ে। জাহাজটিতে বহন করা হচ্ছিল ২ হাজার টনের বেশি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। সার বানাতে কিংবা বোমা তৈরির কাজে এই রাসায়নিক ব্যবহার হয়। জাহাজটির আর গন্তব্যে ফেরা হয়নি। অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক বিরোধের কারণে যে রুশ ব্যবসায়ী জাহাজটি লিজ নিয়েছিলেন তিনি চুক্তি বাতিল করেন। এরপরই জাহাজের অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বৈরুতের বন্দরের কাছের একটি গুদামে নেয়া হয়। এত বছর ধরে সেখানেই তা পড়েছিল।


আরো সংবাদ



premium cement
অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করলেন শিব্বির আহমদ রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের শিডিউল বিপর্যয়, ভোগান্তি যাত্রীদের গণহত্যা বন্ধ করে ফিলিস্তিনকে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে : ছাত্রশিবির দোয়ারাবাজারে মইন হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ উপজেলা নির্বাচন : দ্বিতীয় ধাপে ৬১ জনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে সিলেটে শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল ঝালকাঠিতে পারিবারিক দ্বন্দ্বে হত্যা, বাবা ও ভাই গ্রেফতার বন্যাবিধ্বস্ত কেনিয়া ও তানজানিয়ায় ঘূর্ণিঝড় সতর্কতা জারি রাজধানীতে লেকে গোসলে নেমে ২ কিশোরের মৃত্যু ইসরাইলের ওপর কঠোর হতে বাইডেনের প্রতি ডেমোক্রেট কংগ্রেস সদস্যদের আহ্বান আশুলিয়ায় ঝুট ব্যবসা দখল নিতে ৬ জনকে কুপিয়ে জখম

সকল