২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আফগানিস্তানে কারাগারে হামলায় নিহত ৩৭

-

২০ ঘণ্টা পর বন্দুকধারীদের কবল থেকে জালালাবাদের কারাগারটিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হয়েছে আফগান নিরাপত্তাবাহিনী। সোমবার দুপুরে দুই পক্ষের মধ্যকার সংঘর্ষের অবসান হয়। এ ঘটনায় অন্তত ২৯ জন নিহত ও ৫০ জন আহত হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে কারাবন্দী ছাড়াও রয়েছে বেসামরিক নাগরিক, কারারক্ষী ও আফগান নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্য। নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানে আট হামলাকারীও নিহত হয়েছে। সব মিলে প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭-এ। তবে জালালাবাদের কারাগারটির নিয়ন্ত্রণ নিলেও পাশের একটি এলাকা থেকে আফগান নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে কিছুক্ষণ পর পর গুলি ছুড়ছে আইএস সদস্যরা। আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফাওয়াদ আমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
রোববার রাতে নানগারগার প্রদেশের রাজধানী জালালাবাদের কারা প্রাঙ্গণে গাড়িবোমা হামলা চালায় এক আত্মঘাতী। এরপরই নিরাপত্তা প্রহরীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে বেশ কয়েকজন বন্দুকধারী। পরে নিরাপত্তাবাহিনী অভিযান শুরু করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। কারাগারটিতে প্রায় দেড় হাজার বন্দী রয়েছে।
এর মধ্যে কয়েক শ’ বন্দীকে আইএসের আফগান শাখার সদস্য বলে মনে করা হয়ে থাকে। কারাগারটিতে হামলার ঘটনায় আইএসের আফগান শাখা দায় স্বীকার করেছে। সংগঠনটি সেখানে আইএস ইন খোরাসান প্রভিন্স নামে পরিচিত। নানগারগার প্রদেশে সংগঠনটির সদর দফতর অবস্থিত।
হামলার উদ্দেশ্য কী তা এখনো জানা যায়নি। হামলার সময় বেশ কিছু বন্দী পালিয়ে গিয়েছিল। নানগারগার প্রদেশের গভর্নরের মুখপাত্র জানিয়েছেন, পালিয়ে যাওয়া এক হাজার বন্দীকে খুঁজে বের করেছে নিরাপত্তাবাহিনী। এখনো কোনো বন্দী পলাতক আছে কি না তা জানা যায়নি। নানগারগার প্রদেশের রাজধানী জালালাবাদের কাছে বিশেষ বাহিনীর অভিযানে এক আইএস কমান্ডার নিহত হওয়ার এক দিনের মাথায় এ হামলা হলো।
এর আগে তালেবানের পক্ষ থেকে করা এক টুইটার পোস্টে হামলার দায় অস্বীকার করা হয়। ঈদুল আজহা উপলক্ষে সংগঠনটির সঙ্গে আফগান সরকারের অস্ত্রবিরতি চলছে। নানগারগারে প্রায় নিয়মিতই বন্দুকধারীর হামলা হয়ে থাকে। এর অনেকগুলোরই দায় স্বীকার করে আইএস।


আরো সংবাদ



premium cement