২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কাশ্মির কেন্দ্রশাসিত থাকলে ভোটে দাঁড়াবেন না ওমর আবদুল্লাহ

-

ভারত অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মিরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ বলেছেন জম্মু ও কাশ্মির কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থাকলে তিনি বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন।
জম্মু ও কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করার এক বছর পূর্ণ হতে চলল। আগামী ৫ আগস্ট ওই এক বছর পূর্ণ হবে। কিন্তু সেই দিনগুলোকে কিছুতেই ভুলতে পারছেন না উপত্যকার এই নেতা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এ বিষয়ে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ বলেন, ‘জম্মু ও কাশ্মির কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থাকলে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব না।’ কোনো ভনিতা না করে আবদুল্লাহ বলেন, আমি খুব স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই যে জম্মু ও কাশ্মির কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থাকাকালে আমার পক্ষে কোনো বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সম্ভব নয়। এই এলাকা থেকেই সবচেয়ে বেশিবার এমপি নির্বাচিত হওয়ার পরেও যেভাবে আমাদের ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হয়েছে তাতে কিছুতেই আর পার্লামেন্টের সদস্য হতে পারব না আমি।
গত বছরের ৫ আগস্ট, কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু ও কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার এবং দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। সরকার যুক্তি দিয়েছিল যে ৩৭০ অনুচ্ছেদ এবং ৩৫ এ ধারা, দুটোই ‘সাংবিধানিকভাবে দুর্বল’ এবং বৈষম্যমূলক ছিল এবং এটি জম্মু ও কাশ্মিরের বিকাশকে বাধা দিয়েছে। তারপরেই নিরাপত্তা ও অশান্তি এড়ানোর যুক্তিতে তখন থেকেই সেখানে ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিসেবাসহ নানা নানা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আটক করা হয় রাজনৈতিক নেতাদের। তাদের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মিরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীরাও রয়েছেন। পরে ওই ৩ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ, তার ছেলে ওমর আবদুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতিকে জননিরাপত্তা আইনের আওতায় এনে তাদের বন্দিদশার মেয়াদ বাড়ানো হয়।
পরে যদিও গত ২৪ মার্চ ওমর আবদুল্লাহ প্রায় আট মাস বন্দিদশার পরে মুক্তি পান। তার আগের দিন অর্থাৎ ২৩ মার্চ মুক্তি দেয়া হয় ওমরের বাবা এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহকেও। তবে আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এখনো আটক রয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে ওমর আবদুল্লাহ সোমবার একটি টুইটও করেন। তিনি লেখেন. পার্লামেন্টের মাধ্যমে যখন ৩৭০ অনুচ্ছেদটি পুরোপুরি এখান থেকে রদ করা হলো তখন অনেকগুলো যুক্তি দেয়া হয়েছিল এর পক্ষে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল তার কোনোটাই পূরণ হচ্ছে না বরং সন্ত্রাসবাদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে, বিনিয়োগের অভাব দেখা দিচ্ছে বা মানবিক উন্নয়নের সূচকগুলো নিম্নমুখী হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement