২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


গ্যাংস্টার বিকাশ দুবের মৃত্যু নিয়ে নানা প্রশ্ন

বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার দাবি পুলিশের
-

ভারতের উত্তর প্রদেশে ৮ পুলিশ হত্যার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী বিকাশ দুবে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে কানপুর পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীর একটি মন্দির থেকে গেফতারের পর বিকাশকে নিয়ে উত্তর প্রদেশে ফিরছিল তাদের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) গাড়িবহর।
তীব্র বৃষ্টিপাতের কারণে কানপুরের সাচেন্দি এলাকার পিচ্ছিল রাস্তায় বহরের একটি গাড়ি উল্টে যায়। ওই দুর্ঘটনার পরপরই বিকাশ এক পুলিশ সদস্যের অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে কাছাকাছি একটি মাঠের মধ্যে লুকিয়ে পড়ে। বিবৃতিতে কানপুর পুলিশ বলেছে, পুলিশ সদস্যরা তাকে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলেন। এরপর তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হলেও, তিনি তা না করে উল্টো পুলিশ সদস্যদের দিকে গুলি ছোড়েন। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুড়লে বিকাশ গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
তবে গ্যাংস্টার বিকাশ দুবের মৃত্যু নিয়ে পুলিশের এ ব্যাখ্যা নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। কেননা কথিত এনকাউন্টারে নিহত বিকাশ দুবের বুকে তিনটি এবং হাতে একটি গুলি লেগেছে কিন্তু পায়ে কোনো গুলি লাগেনি। অবশ্য প্রটোকল অনুযায়ী পায়ে গুলি করার কথা ছিল পুলিশের। কানপুর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। কানপুরের লালা লাজপত রায় হাসপাতালের অধ্যক্ষ আর বি কমলকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই বলেছে, বিকাশ দুবের বুকে তিনটি গুলি লেগেছিল এবং হাতে একটি বুলেটের ক্ষত ছিল। প্রোটোকল অনুযায়ী অবশ্য পা লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ফলে স্বভাবতই এনকাউন্টার নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। তা ছাড়া সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া পুলিশের একটি ভিডিও ক্লিপিং দেখে এই তত্ত্ব আরো জোরদার হচ্ছে যে, বিকাশ দুবে কানপুর পর্যন্ত পৌঁছবেই না, এমনটা আগে থেকেই জানা ছিল। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি বিকাশকে খতম করে দেয়ার পরিকল্পনা আগে থেকেই ছকে রেখেছিল পুলিশ? এনকাউন্টারের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে সেটা পুরোটাই ভিত্তিহীন? প্রথম থেকেই পুলিশের যুক্তির বিরোধিতা শুরু করেছেন বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, বিকাশকে বাঁচিয়ে রাখলে অনেক বড় বড় মাথাই মুখোশহীন হয়ে পড়তেন। সে ক্ষেত্রে রাজ্যের বড় বড় আমলা, মন্ত্রী, পুলিশ কর্মকর্তাদেরও নাম জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা ছিল। সে কারণেই এনকাউন্টারের গল্প ফাঁদা হয়েছে। আসলে বিকাশকে সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা আগেই সেরে ফেলেছিল পুলিশ।
ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিও ক্লিপিংয়ে শোনা যাচ্ছে নিজেদের মধ্যে কথা বলছেন কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা। একজন অপরজনকে বলছেন, বিকাশ দুবে কি কানপুর পর্যন্ত পৌঁছবে? অন্যজন তাঁকে হেসে বলছেন, বিকাশ কানপুরে পৌঁছবে না। এর পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে কাদের আড়াল করার জন্য মরতে হলো বিকাশকে? তা হলে কি বিরোধীদের সন্দেহই ঠিক?


আরো সংবাদ



premium cement
বরিশালে তীব্র তাপদাহে ৩ স্কুলছাত্রী অসুস্থ বগুড়ায় জব মেলায় চাকরি পেলেন বেকার প্রকৌশলীরা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার নীলনকশা থামছে না : রিজভী তাজউদ্দীন মেডিক্যাল দুদকের অভিযান : নানা অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য মিলেছে পূর্ব কালুরঘাটে বেইলিব্রিজে টেম্পু চাপায় কলেজশিক্ষার্থী নিহত কুবি শিক্ষকদের ওপর হামলায় নেতৃত্ব দেয়া ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মী শনাক্ত দিনাজপুরে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থক-পুলিশ সংঘর্ষ, গুলিতে নিহত ১ ভারতে মসজিদের ভেতর ইমামকে পিটিয়ে হত্যা তীব্র গরমে কাঁঠালিয়ায় এক শিক্ষার্থী অসুস্থ উল্লাপাড়ায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বজনদের দাবি পরিকল্পিত হত্যা রাজশাহীর পদ্মায় ডুবে তাবলীগ জামাতের সদস্যের মৃত্যু

সকল