রাশিয়া, চীন ও ইউরোপের সংস্থাগুলো ইরানে তাদের কার্যক্রম চালাতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে
- আল জাজিরা
- ০১ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০
রাশিয়া, চীন ও ইউরোপের সংস্থাগুলো ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে কাজ চালিয়ে যেতে পারবে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর গত সোমবার ঘোষণা করেছে যে, ওই দেশগুলো ইরানের ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে। সোমবার ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি নিষেধাজ্ঞার ওপর মওকুফ নবায়ন করেছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। তবে এতে ইরানের পরমাণু কার্যক্রমের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা হয়েছে।
এ সংশ্লিষ্ট বর্তমান এবং প্রাক্তন মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, পম্পেও মওকুফ বাড়ানোর বিরোধিতা করেছিলেন, যেগুলো ২০১৫ সালের ইরান পারমাণবিক চুক্তির অবশিষ্ট কয়েকটি অংশের মধ্যে রয়েছে যা ট্রাম্প প্রশাসন বাতিল করেনি। তবে কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানুচিন গত সপ্তাহে অভ্যন্তরীণ বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। মানুচিন যুক্তি দিযেছিলেন যে করোনাভাইরাস মহামারী মওকুফের বিষয়টি বিবেচনা না করার সিদ্ধান্তকে তিক্ত করে তুলেছিল। এটি এমন এক সময়ে যখন মার্কিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে এই মহামারী মোকাবেলায় ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞাগুলো সহজ করতে অস্বীকার করার জন্য সমালোচনা করা হচ্ছিল। কেননা করোনাভাইরাস গোটা ইরানে শক্তভাবেই আঘাত হেনেছে। এর আগে রয়টার্স জানিয়েছিল সোমবার নিষেধাজ্ঞা মওকুফ নবায়নের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন। এই নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার সাথে কাজ করতে যুক্তরাষ্ট্রের নয় এমন সব সংস্থার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মরগান অর্টাগাস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকির মধ্যে একটি।
এর আগে ২৬ মার্চ ইরানের পাঁচটি প্রতিষ্ঠান ও ডজনখানেকেরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এক যুগেরও আগে ইরানে নিখোঁজ হন অবসরপ্রাপ্ত মার্কিন এফবিআই এজেন্ট রবার্ট লেভিনসন। কিছুদিন আগে ইরানের জিম্মায় লেভিনসনের মৃত্যু হয় বলে দাবি মার্কিন প্রশাসনের। তারই জেরে দেশটির ওপর নতুন এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে জানায় ট্রাম্প প্রশাসন।