২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ফিলিস্তিনের গ্রাম উচ্ছেদের বিরুদ্ধে ইসরাইলকে আইসিসির হুঁশিয়ারি

-

আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের (আইসিসি) প্রধান প্রসিকিউটর ফাতু বেনসুদা বুধবার সতর্ক করেছেন যে, ইসরাইল যদি পশ্চিম তীরে অবস্থিত ফিলিস্তিনি বেদুইন গ্রাম ধ্বংস করে দেয় তবে যুদ্ধাপরাধের বিচার হতে পারে। এপি জানায়, ফাতু বেনসুদা এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘জোরপূর্বক নির্বাসন অত্যাসন্ন বলে মনে হচ্ছে’। আইসিসি প্রণীত ও রোম বিধির আলোকে ‘সামরিক প্রয়োজন ছাড়া সম্পত্তির ব্যাপক ধ্বংস সাধন এবং বলপূর্বক জনসাধারণকে দখলকৃত অঞ্চলে স্থানান্তর করা যুদ্ধাপরাধ’। অথচ যুদ্ধাপরাধকে সাধারণ ব্যাপার বলে মনে করা হচ্ছে।
ইসরাইলের সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি খান আল-আহমার ধ্বংসের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে দায়ের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। ২০১৫ সালে ইসরাইল ও ফিলিস্তিন অঞ্চলে প্রাথমিকভাবে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ পেয়েছিল আইসিসি।
খান আল-আহমার গ্রামের অধিবাসীরা বেদুইনের বংশধর। ১৯৪৮ সালের পর থেকেই ইসরাইল দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছে এই বেদুইনরা। ১৯৫৩ সালে এই বাসিন্দাদের তাদের নিজ ভূমি নেগেভ মরুভূমি থেকে বিতাড়িত করেছিল ইসরাইলি সেনাবাহিনী। নিজেদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে যাযাবর শ্রেণীর এই মানুষগুলোকে পশ্চিম তীরে স্থানান্তর করা হয়েছিল। গ্রামটিতে প্রায় ১৮০ বেদুইন ভেড়া ও ছাগল লালন-পালন করে, টিন ও কাঠের তৈরি তাঁবু ও খুপরি ঘরে বসবাস করে।
জি-৭৭-এর সভাপতি হিসেবে ফিলিস্তিনকে অনুমোদন
এ দিকে এপি জানায়, জাতিসঙ্ঘের উন্নয়নশীল দেশগুলোর জোট গ্রুপ অব ৭৭-এর (জি-৭৭) সভাপতি হিসেবে ফিলিস্তিনকে অনুমোদন করেছে জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদ। মঙ্গলবার ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তিকে অগ্রাহ্য করে ২০১৯ সালের জন্য জি-৭৭-এর সভাপতি হিসেবে ফিলিস্তিনকে জাতিসঙ্ঘের পক্ষ থেকে অনুমোদন দেয়া হয়।
ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে বর্তমান গ্রুপ অব ৭৭-এর সভাপতি মিসর পরিষদে বলেছিল, ফিলিস্তিনিরা জাতিসঙ্ঘের সদস্য নয়, পর্যবেক রাষ্ট্র। তাই চীনসহ ১৩৫টি জাতিগোষ্ঠীকে নেতৃত্ব দিতে ফিলিস্তিনের ‘অধিকার এবং মতা প্রয়োজন’।
গত মাসে জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে ১৯৩টি সদস্য দেশের নেতৃবৃন্দ প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে ফিলিস্তিনকে জাতিসঙ্ঘের পূর্ণ সদস্য বানানোর ব্যাপারে বলেছিলেন। তারা ফিলিস্তিনকে জি-৭৭-এর সভাপতি বানানোর সিদ্ধান্তের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছিলেন।
পরিষদ যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের বিরোধিতার মধ্যেও প্রস্তাবটি উত্থাপন করে এবং ১৪৩টি রাষ্ট্র পক্ষে ভোট দেয়, তিনটি দেশ বিপক্ষে ভোট দেয় আর ১৫টি দেশ ভোট দেয়নি। ফলে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়া তিনটি দেশ হচ্ছেÑ ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া।


আরো সংবাদ



premium cement