ব্রেক্সিটের ওপর ফের গণভোট চায় লেবার পার্টি

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে পার্লামেন্টে তার ব্রেক্সিট পরিকল্পনা পাসে ব্যর্থ হলে বিকল্প হিসেবে দ্বিতীয় গণভোট আয়োজন প্রশ্নে প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি ভোটাভুটিতে যাচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার (ব্রেক্সিট) প্রক্রিয়া নিয়ে থেরেসাকে আরো চাপে ফেলতে লেবার পার্টি এ উদ্যোগ নিচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যদিও থেরেসা স্পষ্ট করেই ব্রেক্সিট প্রশ্নে দ্বিতীয়বার গণভোট আয়োজনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, হয় পার্লামেন্টে তার প্রস্তাবিত ব্রেক্সিট পরিকল্পনা অনুমোদন পাবে, নতুবা কোনো চুক্তি ছাড়াই ইইউর সাথে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ হবে। গত জুলাইয়ে থেরেসা তার বাণিজ্য বান্ধব ব্রেক্সিট পরিকল্পনা মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করেন। ওই প্রস্তাব নিয়ে মন্ত্রীদের মধ্যে চরম বিভাজন দেখা দিলেও শেষ পর্যন্ত তা অনুমোদন পায়। যদিও থেরেসার প্রস্তাবের সাথে একমত হতে না পারায় দুই দিনের মাথায় প্রথমে ব্রেক্সিটমন্ত্রী ডেভিড ডেভিস এবং পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন পদত্যাগ করেন।
থেরেসার দল কনজারভেটিভ পার্টির অনেক এমপিও তার প্রস্তাব সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন, নতুবা বিপক্ষে ভোট দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। থেরেসা তার অবস্থানে অনড় থেকে গত বৃহস্পতিবার ইইউ নেতাদের সাথে এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে নিজের ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। ওই বৈঠকেও উভয় পক্ষের মধ্যে অনেক তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। বিশেষ করে বাণিজ্য নীতি এবং আইরিশ সীমান্ত নিয়ে ইইউ নেতারা বেশ কিছু দাবিদাওয়া পেশ করেছেন। ওই দাবি পূরণ না হলে কোনো চুক্তিতে না যাওয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছেন তারা।
যে কারণে থেরেসার ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে আরো অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে এবং ইইউর সাথে বিচ্ছেদ প্রশ্নে দ্বিতীয়বার গণভোট আয়োজনের দাবি আরো জোরাল হয়েছে। লেবার নেতা জেরেমি করবিনও দ্বিতীয় গণভোট আয়োজনের পক্ষে। তবে দল থেকে প্রস্তাব উপস্থাপনের পর ভোট আয়োজন করে তার ফলের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চাইছেন তিনি। রোববার রাতে লেবার পার্টি থেরেসার ব্রেক্সিট প্রস্তাব পাস না হলে বিকল্প ব্যবস্থা কী হতে পারে তা নিয়ে ভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার মধ্যে দ্বিতীয়বার গণভোট আয়োজনের প্রচার শুরুর বিষয়টিও আছে।