২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


লুসি যেভাবে বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী নারী হলেন

লুসি গুও - ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী মহিলার নাম প্রকাশ করেছে মার্কিন ব্যবসায়িক ম্যাগাজিন ফোর্বস। আপাতত সারা বিশ্বের নজর ওই কনিষ্ঠ ধনবতীর দিকেই। শুধু ধন-সম্পদই নয়, বিশ্বের অন্যতম ফিট সিইও হিসেবেও পরিচিতি রয়েছে তার। তিনি লুসি গুও।

গত প্রায় এক বছর ধরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে হঠাৎ উত্তাল হয়েছে পৃথিবী। ইতিমধ্যেই স্কেল এআই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। আলোচনার কেন্দ্রে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ স্ব-প্রতিষ্ঠ বিলিয়নিয়ার, স্কেল এআই-এর সিইও আলেকজান্ডার ওয়াং। পাশাপাশি স্পটলাইটের আলো রয়েছে লুসি গুও-র উপরও। লুসি স্কেল এআই-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা, বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী স্ব-প্রতিষ্ঠ নারী। ফোর্বসের তালিকায় বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারীদের তালিকায় কাইলি জেনারের পরেই তার নাম।

২০১৮ সালে লুসি স্কেল এআই থেকে পদত্যাগ করেন। কিন্তু এখনো ওই সংস্থায় তার প্রায় ৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। স্কেল এআই-এর মোট সম্পত্তির পরিমাণ এই সময় প্রায় ৭.৩ বিলিয়ন ডলার। কলেজে পড়াকালীনই ওয়াং-এর সাথে মিলে এই মাল্টি-মিলিয়ন ডলার সংস্থার জন্ম দিয়েছিলেন লুসি।

খুব ছোটবেলা থেকেই লুসির আগ্রহ ছিল কোডিংয়ের প্রতি। লুসির বাবা-মা দু’জনেই ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। তারা লুসিকে প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে যেতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু সেই বাধা মানেননি লুসি।

কম্পিউটার সায়েন্স ডিগ্রি অর্জনের জন্য কার্নেগি মেলনে ভর্তি হন, কিন্তু ২০১৪ সালে থিয়েল ফেলোশিপ পাওয়ার পরই কলেজ ছেড়ে যান। এই ফেলোশিপে ১ লক্ষ ডলার দেওয়া হয় যোগ্যতার ভিত্তিতে। এরপর, লুসি ফেসবুকে-এ ইন্টার্নশিপ করেন এবং তারপরে তিনি কোরা এবং স্ন্যাপচ্যাটে প্রডাক্ট ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেন।

২০১৫ সালেই তার সাথে ওয়াং-এর দেখা। সেই বছরই তারা স্কেল এআই শুরু করেন। কিন্তু লুসি-ওয়াং জুটি এই ক্ষেত্রে কাজ করেছেন মাত্র দু’বছর। এই সময়ের মধ্যেই তারা বিস্ময় তৈরি করেছেন।

২০১৮ সালে, লুসি এবং ওয়াং ঠিক কেন আলাদা হয়ে যান, তার কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি। তবে লুসি এখনো ওই সংস্থার ৬ শতাংশ শেয়ারের মালিক। স্কেল এআই ছাড়ার পর লুসি ব্যাকেন্ড ক্যাপিটাল এবং পাসেস-এর মতো সংস্থাও খোলেন।

জানা গেছে, বর্তমানে লুসির মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৪৪০ মিলিয়ন ডলার। কোডিংয়ের পাশাপাশি, তিনি আর্থিক বিনিয়োগ এবং ব্যবসায়িক মডেলের সাহায্যে তার ব্যাঙ্ক ব্যালান্সও বাড়িয়েছেন। এই মুহূর্তে লুসি পাসেসের সিইও পদে আসীন।

তবে শুধুই অর্থ, প্রতিপত্তি নয়। লুসির পরিচিতি তার ফিটনেসেও। বিশ্বের অন্যতম ফিট সিইওদের একজন বছর আঠাশের লুসি।

সূত্র : নিউজ ১৮


আরো সংবাদ



premium cement