স্কুলশিক্ষক স্বামীকে মিস্ত্রি পরিচয় দিলেন জামালপুরের ইসলামপুরে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের উলিয়া গ্রামের গৃহবধূ কবিতা আক্তার।
মুজিবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ‘জমি নাই, ঘর নাই’ প্রকল্পের ঘর পেয়েছেন স্কুলশিক্ষক হারুনর রসিদসহ চার ভাই।
হারুনর রসিদ চিনাডুলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্র জানায়, উপজেলার ১২ নম্বর উইনিয়নে ২৮৮টি ঘরনির্মাণ করা হয়েছে। নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের উলিয়া পাইলিং ঘাটে ৩৫টি ঘরনির্মাণ করা হয়েছে।
ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুরুজ্জামান ওইসব ঘরনির্মাণ করতে সুবিধাভোগীদের তালিকা করেন।
রোববার দুপুরে উলিয়া পাইলিং ঘাটে গেলে শিক্ষক হারুনের সাথে প্রতিবেদকের দেখা হয়। পরিচয় জানতে চাইলে প্রথমে নিজের পরিচয় দেন তিনি। পরে সাংবাদিক জেনে পালিয়ে যান ওই শিক্ষক। কিছু সময় পর তার স্ত্রী কবিতা আক্তার স্বামীকে রাজমিস্ত্রি পরিচয় দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সুবিধাভোগী বলেন, ঘরনির্মাণের জন্য তাদেরকে সিমেন্টের দাম, মাটিকাটা ও নির্মাণশ্রমিকদের খাবার দিতে হয়েছে।
এলাকাবাসীর জানান, একজন শিক্ষক কি করে দরিদ্রদের ঘর পেয়েছেন আমরা ঠিক বুঝতে পারছি না।
তাদের অভিযোগ, নিম্নমানের ঘরনির্মাণ করা হয়েছে। যে কারণে নতুন ঘরেই ফাটল ধরেছে। টাকার বিনিময়ে ঘর দেয়ার অভিযোগ রয়েছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। তবে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না দরিদ্র পরিবারগুলো।
চেয়ারম্যান সুরুজ্জামান শিক্ষককে ঘর দেয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উপর মহলে কথা বলেই প্রত্যয়ন দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মাজহারুল ইসলাম বলেন, তদন্ত করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা