০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


গফরগাঁওয়ে নিখোঁজের ৪ দিন পর কৃষকের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার, আটক সহোদর

-

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে নিখোঁজের চার দিন পর ধানক্ষেত থেকে স্বপন মিয়া (৪৩) নামে এক কৃষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে । বুধবার দুপুরে উপজেলার উস্থি ইউনিয়নের দিয়ারগাঁও গ্রামের বাইলনা বিল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পাগলা থানা পুলিশ। পাগলা থানা পুলিশ এ ঘটনায় নিহত স্বপন মিয়ার ভাই শহীদ মিয়াকে আটক করেছে।

পরিবারের সদস্যদের দাবি, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুর্বত্তরা তাকে অপহরণ করে। পরে হত্যা করে গভীর রাতে এখানে ফেলে রেখে যায়।

পুলিশ, এলাকাবাসী, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় ২৭ শতাংশ জমি নিয়ে স্বপন মিয়ার সাথে বিরোধ ছিল তার সহোদর ছোট ভাই শহীদের (৪২) সাথে। গত রোববার সকালে স্বপন মিয়ার বাড়ির কাছে এ বিরোধ মিমাংসার জন্য সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম তোতা, স্থানীয় ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়ার নেতৃত্বে এই সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সালিশ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় বিরোধপূর্ণ ২৭ শতাংশ জমি পিতা মন্তাজ আলী (৮০) তার দুই ছেলে স্বপন ও শহীদকে সমান ভাগে ভাগ করে দিবেন।

রোববার দুপুরে সালিসির বৈঠক শেষ হওয়ার পর স্বপন মিয়া আর বাড়ি থেকে বের হননি। রোববার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে কাছেই পাঁচবাগ মোড়ে গিয়ে আর বাড়িতে ফিরে আসেননি। পরে রাত গভীর হলেও বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি করে, কিন্তু পাননি । সোমবার ও মঙ্গলবার স্বপন মিয়ার পরিবারের লোকজন তাদের সকল আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে তাকে খোঁজ করে এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম তোতাকে বিষয়টি অবহিত করে।

এদিকে বুধবার সকালে বাবুলের ফিশারীর পাশে বাইলনা বিলে স্বপন মিয়ার ক্ষতবিক্ষত লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পাগলা থানা পুলিশে খবর দেয়। দুপুরে পাগলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশটি উদ্ধার করে।

নিহতের ছোট ছেলে আলমগীর (১৮) জানায়, রোববার রাত ৮টার দিকে পাঁচবাগ মোড়ে একটি চায়ের দোকানে তার পিতাকে সর্বশেষ দেখেন । ওই দোকানের পাশেই শহীদ, বাবুল, নাজিম উদ্দিনসহ ১০ থেকে ১২ জন লোক সংঘবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

নিহতের বড় ছেলে মো: রিপন মিয়া (২৫) জানান, সালিশ বৈঠকেই তার পিতাকে খুন করার হুমকি দেয়া হয়েছিল।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম তোতা জানান, নিহত স্বপন মিয়ার সাথে তার ভাইদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সালিশ বৈঠক করে এ বিরোধ মিমাংসা করে দেয়া হয়।

পাগলা থানার ওসি মো: শাহিনুজ্জামান খান বলেন, এ ঘটনায় শহীদ মিয়াকে জিঙ্গাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে


আরো সংবাদ



premium cement