পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, রোহিঙ্গাদের যেনতেন নয়, বরং টেকসই প্রত্যাবাসন চায় বাংলাদেশ। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের অবকাঠামোগত প্রস্তুতি দেখে এসেছে। বিশ্বের চাপে মিয়ানমারের আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে।
গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাখাইন ফিরে যেতে রোহিঙ্গাদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে বাংলাদেশে প্রতিনিধিদল পাঠাবে মিয়ানমার। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় জাতিসঙ্ঘকে অন্তর্ভুক্ত করা একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি।
শাহরিয়ার আলম বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য ভাসানচর প্রস্তুতের কাজ চলছে। এ কাজ শেষ হতে আরো দুই-এক মাস লাগবে।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় অভিযুক্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার সরকারের প্রচেষ্টা সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, এ ব্যাপারে ব্রিটেনের সাথে যোগাযোগ রয়েছে। যুক্তরাজ্যে আশ্রয়ের শর্তাবলি যাতে তারেক রহমান মেনে চলেন তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে ব্রিটেন।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
এ দিকে পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বলেন, প্রত্যাবাসনের জন্য রোহিঙ্গাদের আস্থায় আনতে মিয়ানমারে আরো কাজ করতে হবে। এ জন্য আরো সময় প্রয়োজন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গী হিসেবে মিয়ানমার সফরের ওপর আলোকপাত করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে তারা এ পর্যন্ত যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তা আমাদের দেখিয়েছে। আমি বলব, কিছু অন্তত হয়েছে।
শহীদুল হক বলেন, প্রত্যাবাসন যেকোনো দেশের জন্যই জটিল ও কঠিন ইস্যু, যা রাতারাতি সমাধান করা যায় না। রোহিঙ্গা প্রতাবাসনের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা