৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


যেভাবে শুরু হলো ১ জানুয়ারি বর্ষবরণ উৎসব

যেভাবে শুরু হলো ১ জানুয়ারি বর্ষবরণ উৎসব - ছবি : সংগৃহীত

সামনেই ইংরেজি বর্ষবরণ। উৎসবে আনন্দে মেতে উঠেছে সারা বিশ্ব। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে সবাই তৈরি। তবে কবে থেকে শুরু হলো বর্ষবরণ উৎসব? হ্যাপি নিউ ইয়ারের সৃষ্টি কবে থেকে? তা জানেন না অনেকেই।

বলা হয় যে পৃথিবীতে যতগুলো উৎসব পালন করা হয়, তার মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন উৎসব হলো বর্ষবরণ উৎসব। এই উৎসবের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হলে চলে যেতে হবে সুদূর মেসোপটেমিয়া সভ্যতার যুগে।

নিউ ইয়ার পালন শুরু হয় চার হাজার বছর আগে, খ্রিস্টপূর্ব দুই হাজার অব্দ নাগাদ। মেসোপটিমিয়ান সভ্যতার মোট চারটি ভাগ রয়েছে- সুমেরিয় সভ্যতা, ব্যবিলনিয় সভ্যতা, অ্যাসরিয় সভ্যতা ও ক্যালডিয় সভ্যতা। এর মধ্যে নিউ ইয়ার উৎসব প্রথম শুরু হয় ব্যবিলনিয় সভ্যতায়।

ওই যুগেও বেশ ধুমধাম করে জাঁকজমকভাবে নিউ ইয়ার ডে পালন করা হতো। তবে তা ১ জানুয়ারির দিনে নয়। তখন নিউ ইয়ার ডে ধরা হতো বসন্তের প্রথম দিনকে। বসন্তকালের প্রথম দিনেই পালন করা হতো বর্ষবরণ উৎসব। সেই যুগে ক্যালেন্ডারের প্রচলন ছিল না। আকাশে চাঁদের অবস্থান দেখে বছর গণনা করা হতো। চাঁদ দেখেই পালন করা হতো এই উৎসবও। বসন্তের যেদিন প্রথম চাঁদ উঠত সেদিনকেই নিউ ইয়ার ডে হিসেবে ধরা হতো। এই উৎসব টানা ১১ দিন ধরে চলত। ১১ দিনের আবার আলাদা আলাদা তাৎপর্যও ছিল।

এবার আসা যাক রোমান সভ্যতায়। নিউ ইয়ার পালন করতেন রোমানরাও। রোমান সম্রাজ্যে ১ মার্চকে নববর্ষ হিসেবে ধরা হতো। এদের অবশ্য একটি ক্যালেন্ডারও ছিল। রোমানদের এই ক্যালেন্ডারে মাস ছিল মোটা ১০টা। জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারির কোনো উল্লেখ ছিল রোমান ক্যালেন্ডারে। পরে অবশ্য নুমা পন্টিলাস নামের এক সম্রাট ক্যালেন্ডারে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি যোগ করেন।

খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ অব্দে বর্ষবরণের দিন হিসেবে ২৬ মার্চ তারিখটিকে ধরা হতো। পরে সম্রাট পন্টিলাস ক্যালেন্ডারে জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি যোগ করার পরে ১ জানুয়ারি দিনটিকেই বর্ষবরণের দিন হিসেবে ঠিক করে দেন। তখন থেকেই ঠিক করা হয় যে ১ জানুয়ারি দিনটি হলো নিউ ইয়ার ডে বা বর্ষবরণ দিন। কিন্তু এই দিনটি নিউ ইয়ার ডে হিসেবে ঠিক করা হলেও, মার্চের ১ তারিখকেই নিউ ইয়ার ডে হিসেবে পালন করতেন রোমানরা।

পরে ৩৬৫ দিনে এক বছর হিসাবে ধরার ঘোষণা করেন জুলিয়াস সিজার। তখন আবারো ১ জানুয়ারিকেই নিউ ইয়ার হিসেবে ধরার কথা ঘোষণা করা হয়। তবে সমস্যা ছিল সিজারের ক্যালেন্ডারেও। পরে অ্যালোসিয়াস লিলিয়াস নামের এক চিকিৎসক এই সমস্যা দূর করে দেন। আজও সেই ক্যালেন্ডারেরই প্রচলন রয়েছে বিশ্বজুড়ে।

পোপ গ্রেগরির নাম অনুসারে এই নতুন ক্যালেন্ডারের নাম হয় গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার। প্রায় ৪৩২ বছর আগে ১৮৫২ সাল নাগাদের ঘটনা। তবে থেকেই ভালোমতো শুরু হলো ক্যালেন্ডারের প্রচলন। বিশ্বব্যাপী এই ক্যালেন্ডার ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই ১ জানুয়ারির বর্ষবরণ উৎসব হিসাবে পালন হতে লাগল। এ দিন পৃথিবী জুড়ে সবাই হ্যাপি নিউ ইয়ার উৎসব পালন করেন।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস


আরো সংবাদ



premium cement
বড় চমক ছাড়াই প্রস্তুত বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল দোয়ারাবাজারে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে হত্যা, আটক ১ বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের বাধাহীন প্রবেশের দাবি সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াবের পেকুয়া উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বিএনপির ২ প্রার্থী নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন ১৮৫ দিন : শিক্ষামন্ত্রী মঙ্গলবার ২ হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম, কার্যকর বুধবার বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী ‘ইসলামী সমাজ বিপ্লব ছাড়া মানুষের মুক্তি সম্ভব নয়’ ইসরাইলে জার্মানির অস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে আইসিজের অস্বীকৃতি

সকল