২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্যাণ্ডোরা পেপারস বলছে বিশ্ব নেতাদের বিপুল পরিমাণ গোপন সম্পদ রয়েছে

প্যাণ্ডোরা পেপারস বলছে বিশ্ব নেতাদের বিপুল পরিমাণ গোপন সম্পদ রয়েছে -

বিশ্বব্যাপী বর্তমান ও সাবেক নেতারা বিপুল পরিমাণ সম্পদ বানিয়েছেন এবং গোপনে মালিক হয়েছেন বহু ভূসম্পত্তির। লাখ লাখ অপ্রকাশিত নথিপত্র মাসের পর মাস ধরে পরীক্ষার পর শত শত সাংবাদিকের করা তদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্যাণ্ডোরা পেপারস নাম দিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায় নথিপত্রে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার, চেক প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেজ বাবিজ এবং জর্ডানের বাদশা আব্দুল্লাহসহ ৩৫ জন সাবেক নেতার সমুদ্র তীরবর্তী বাড়ির মালিকানার তথ্য রয়েছে।

১৪টি সূত্র থেকে আসা প্রায় ১২ লাখ নথিপত্র তদন্তে নেতৃত্ব দেয় ওয়াশিংটন ভিত্তিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেষ্টিগেটিভ জারনালিষ্টস। সারা বিশ্বের ৬৫০ জন সাংবাদিক এই প্রকল্পে কাজ করেন। এতে সহায়তা করেছে ওয়াশিংটন পোস্ট।

নথিপত্রে দেখা গেছে পাঁচটি দেশের জাতীয় নেতারা তাদের সম্পদ সাধারণত অন্য দেশে লুকিয়েছেন। পাঁচ বছর আগে তদন্ত সাংবাদিকেরা পানামা পেপার নামে সমুদ্র তীরবর্তী সম্পত্তির বিষয়ে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলেন সেই সময়ের চেয়ে এই প্রতিবেদনে দ্বিগুণের বেশি অ্যাাকাউন্টের তথ্য রয়েছে।

১৪টি পৃথক আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ২৯ হাজার অ্যাকাউন্টের তথ্য এসেছে এতে। এর মধ্যে এসব সম্পত্তি রয়েছে সুইজারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, সাইপ্রাস, বেলিজ, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস এবং অন্য স্থানে। পোস্টের মতে এসব হিসাবের মালিকদের তালিকায় ১৩০ জন ফোর্বস ম্যাগাজিনের দেয়া তালিকায় কোটিপতি এবং ৩৩০ জন রয়েছেন ৯০টি দেশ ও অঞ্চলের সরকারি কর্মকর্তা।

তথ্য অনুসারে জর্ডানের বাদশার মালিবু, ওয়াশিংটন, ক্যালিফোর্নিয়া, ও অন্যান্য স্থানে ১০৬ মিলিয়ন ডলারের সম্পদ আছে। কেনিয়া ও চেক রিপাবলিকের নেতাদের রয়েছে লাখ লাখ ডলারের গোপন সম্পদ ও নগদ অর্থ।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টরা রাশিয়ার শাসকদের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেন যা যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ক্ষতিকর বলে মনে করে। প্যাণ্ডোরা পেপারে দেখা গেছে যাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তারা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কৌশলে সম্পদগুলোকে ব্যক্তিগত সম্পদে পরিণত করেছেন।
সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement