১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪২৯, ০৮ রমজান ১৪৪৫
`

করোনাভাইরাস : ধুকছে এয়ারলাইন, চলছে ছাঁটাই

- সংগৃহীত

করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত গোটা ‍পৃথিবীর অর্থনীতি আজ হুমকির মুখে। ইউরোপের বড় দুই এয়ারলাইন লুফথান্সা ও ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ এরই মধ্যে কর্মী‍বাহিনী হ্রাসের ঘোষণা দিয়েছে। তাদের এ পরিকল্পনায় এক লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

করোনাভাইরাসের কারণে ইউরোপের বেশিরভাগ দেশে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচলও প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জার্মানির লুফথান্সা ও যুক্তরাজ্যের ব্রিটিশ এয়ারওয়েজকে কোটি কোটি টাকার লোকসান ‍গুনতে হচ্ছে। এ ধকল সামলে উঠতে বৃহস্পতিবার এয়ারলাইন দুটি এক লাখের বেশি কর্মীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করে।

ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ জানিয়েছে, তারা এর মধ্যে প্রায় ৩২ হাজার কর্মীকে বরখাস্তের বিষয়ে তাদের শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে কথা বলেছে। এয়ারলাইনটির পাইলটদের বেতন আগেই অর্ধেক করে ফেলা হয়েছে। এখন প্রায় ৮০ শতাংশ কেবিন ও গ্রাউন্ড ক্রু, প্রকৌশলী এবং অফিস কর্মী বরখাস্তের চুক্তিতে উপনীত হয়েছে তারা।

এদিকে, জার্মানির ফ্ল্যাগক্যারিয়ার লুফথান্সা বিশ্বজুড়ে তাদের ৮৭ হাজার কর্মীর কর্মঘণ্টা কমিয়ে দিয়েছ।  সরকারের সমর্থন নিয়েই তারা এটা করেছে। যার ফলে তাদের ৬০ শতাংশ কর্মীর আয় ব্যাপকভাবে কমে যাবে। এই সংখ্যা প্রায় ৬২ হাজার, যাদের মধ্যে কেবিন ক্রু, গ্রাউন্ড ক্রু এবং পাইলটসহ সবাই আছেন।

লুফথান্সার ৭৬৩টি উড়োজাহাজের মধ্যে প্রায় ৭০০টি বসে আছে। কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কারস্টেন স্পোয়া গত মাসেই সতর্ক করে বলেছিলেন,‘সংকট যত দীর্ঘস্থায়ী হবে, বিমানপরিবহন ব্যবস্থার ভবিষ্যত তত খারাপ হবে। রাষ্ট্রের সহায়তা ছাড়া এই খাতের অস্তিত্ব রক্ষা তত অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।’

বৈশ্বিক সংকট

করোনা ভাইরাসের ‍কারণে শুধু জার্মানি বা যুক্তরাজ্যের বিমান পরিবহণ খাতেরই নাজুক অবস্থা নয়। বরং পুরো বিশ্বজুড়ে একই অবস্থা দেখা যাচ্ছে। গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ার ‘কোয়ান্টাস এয়ারওয়েজ' ২০ হাজার কর্মীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়েছে। যা তাদের মোট কর্মীবাহিনীর দুইতৃতীয়াংশ। ব্রিটেন ভিত্তিক আরেক এয়ারলাইন ‘ইজিজেট' যুক্তরাজ্যে তাদের চার হাজার কেবিন ক্রুকে লে-অফে পাঠিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারলাইনগুলো আগামী ছয় মাস কর্মীদের বেতন দিতে সরকারের ‍কাছ থেকে আড়াই হাজার কোটি মার্কিন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে। তারপরও কোম্পানিগুলো কর্মীবাহিনী হ্রাস করতে চাইছে। বিনা বেতনে ছুটি এবং আগেভাগে অবসরে পাঠানোর পরিকল্পনাও আছে তাদের। সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement