চীনে উইঘুর মুসলমানদের বন্দি রাখার সমালোচনা করে টিকটকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন এক মার্কিন কিশোরী। সেটি ভাইরাল হওয়ার পর তার অ্যাকাউন্টটি নিষিদ্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে অবশ্য সমালোচনার মুখে সেটি খুলে দিয়েছে টিকটক কর্তৃপক্ষ।
ভিডিওর শুরুতে দেখা যায় কার্লার দিয়ে কীভাবে আইল্যাশ কার্ল করতে হয় তা দেখাচ্ছেন ফিরোজা আজিজ। কিন্তু হঠাৎই তিনি কার্লারটি রেখে স্মার্টফোনে চীনের উইঘুর মুসলমানদের সঙ্গে কী করা হচ্ছে তা খোঁজার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘‘চীনে আরেকটি ‘হলোকস্ট' হচ্ছে কিন্তু আমরা কেউই সেটা নিয়ে কথা বলছি না।''
টিকটকে তার এই বক্তব্যসম্বলিত ভিডিওটি অল্প সময়ের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়। এক পর্যায়ে ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্মটিতে তাকে নিষিদ্ধ করা হয় বলে ওয়াশিংটন পোস্টকে জানান ফিরোজা আজিজ।
টিকটকের এক মুখপাত্র অবশ্য দাবি করেছেন, অতীতে ওসামা বিন লাদেনকে নিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করায় আজিজের অন্য একটি অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, কেননা প্লাটফর্মটির নীতি অনুযায়ী সন্ত্রাসী সংগঠন সম্পর্কিত কিছু সেখানে পোস্ট করা যায় না।
কিন্তু পুরনো একটি অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত এক ভিডিওর জন্য ফিরোজা আজিজের নতুন অ্যাকাউন্টটি কেন নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেই প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন টিকটকের মুখপাত্র। তবে তিনি দাবি করেছেন, ফিরোজার নতুন অ্যাকাউন্টটি সচল আছে এবং সেটিতে থাকা ভিডিওগুলো সবাই দেখতে পাচ্ছেন।
ওসামা বিন লাদেনের যে ভিডিওর জন্য ফিরোজা আজিজকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল সেই ভিডিওটি যাচাইয়ের জন্য চাইলে টিকটক তা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
এদিকে উইঘুর মুসলমানদের নিয়ে আজিজের বক্তব্যের ভিডিওটির কয়েকটি সংস্করণ ইতোমধ্যে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে গেছে। শুধু টুইটারেই ভিডিওটি চার মিলিয়নের বেশিবার দেখা হয়েছে।
টিকটক বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছে যে, ফিরোজা আজিজের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ফিরোজা আজিজ নিজেও তার পুরনো একটি অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধের কথা নতুন অ্যাকাউন্টের এক ভিডিওতে উল্লেখ করেছেন। তবে টিকটকের ভিডিওতে তারিখ উল্লেখ না থাকায় ঠিক কবে তিনি নতুন অ্যাকাউন্টটি চালু করেছেন তা জানা যায়নি। তার প্রকাশিত ভিডিওগুলোতে নভেম্বরের ১৫ তারিখ করা মন্তব্যও রয়েছে।
অর্থাৎ, তখনও টিকটকে সক্রিয় ছিলেন ফিরোজা আজিজ। কিন্তু উইগুর মুসলমানদের নিয়ে প্রকাশিত ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর কোনো এক সময়ে তাকে আবার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গার্ডিয়ান এবং নেৎসপলিটিক দাবি করেছে, টিকটকের কর্মীদের চীনের পছন্দ নয় এমন কন্টেন্টের উপর বিধিনিষেধ আরোপের অঘোষিত নির্দেশনা দেয়া আছে। টিকটক যদিও এমন কোনো নির্দেশনা থাকার কথা অস্বীকার করেছে, তবে গবেষণায় দেখা গেছে চীনের সমালোচনামূলক কন্টেন্ট মুছে ফেলা না হলেও সেটি যাতে ছড়িয়ে না পরে সেই চেষ্টা অতীতে একাধিকবার করেছে প্ল্যাটফর্মটি। ডয়েচে ভেলে।
Here is a trick to getting longer lashes! #tiktok #muslim #muslimmemes #islam pic.twitter.com/r0JR0HrXbm
— feroza.x (@x_feroza) November 25, 2019
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা