২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


যুদ্ধ বিধ্বস্ত মসুল থেকে শান্তির আহ্বান পোপ ফ্রান্সিসের

মসুল সফরে পোপ ফ্রান্সিস - ছবি : আনাদোলু এজেন্সি

ক্যাথলিক খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় নেতা পোপ ফ্রান্সিস উত্তর ইরাকের মসুল থেকে শান্তির আহ্বান জানিয়েছেন। রোববার পোপের ইরাক সফরের শেষ দিনে যুদ্ধ বিধ্বস্ত শহরটিতে ভ্রমণে এসে এই আহ্বান জানান পোপ।

এর আগে রোববার সকালে উত্তরাঞ্চলীয় এরবিল শহরের বিমানবন্দরে পৌঁছান পোপ ফ্রান্সিস। সেখানে তিনি ইরাকের স্বায়ত্ত্বশাসিত কুর্দি অঞ্চলের নেতাদের সাথে সাক্ষাত করেন।

পরে আইএসের দখলমুক্ত করা মসুল শহরে তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের স্মরণে এক প্রার্থনা সভা পরিচালনা করে।

প্রার্থনায় সমবেতদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘সভ্যতার দোলনার এই দেশে কতই না নিষ্ঠুর যে, এক বর্বর আঘাতে প্রাচীন উপাসনার স্থান ধ্বংস করা হয়েছে এবং মুসলমান, খ্রিস্টান, ইয়াজিদি ও অন্য ধর্মের কয়েক হাজার ব্যক্তিকে জোর করে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে বা হত্যা করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা জোর দিয়ে বলতে চাই, ভ্রাতৃহত্যার চেয়ে সহমর্মিতা দীর্ঘস্থায়ী, ঘৃণার চেয়ে আশা বেশি শক্তিশালী, যুদ্ধের চেয়ে শান্তি বেশি শক্তিশালী।’

পরে নিনেভা প্রদেশের বৃহত্তম খ্রিস্টান শহর কারাকুশে ভ্রমণ করেন পোপ ফ্রান্সিস।

এর আগে শুক্রবার তিনদিনের সফরে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে পৌঁছেন পোপ ফ্রান্সিস। করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর এটিই পোপ ফ্রান্সিসের প্রথম বিদেশ সফর। অপরদিকে, ইরাকে পোপ ফ্রান্সিসের এই সফরের মাধ্যমে প্রথম কোনো ক্যাথলিক খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মগুরু দেশটিতে সফরে এলেন।

শনিবার ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলীয় নাজাফে দেশটির শিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ আলী আল-সিস্তানির সাথে সাক্ষাত করেন পোপ ফ্রান্সিস। ৫০ মিনিটের একান্ত বৈঠকের পর উভয় নেতা ইরাকের মুসলমান ও খ্রিস্টান উভয়কে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বার্তা দেন।

পরে ইসলাম ও খ্রিস্ট উভয় ধর্মের পবিত্র পুরুষ হিসেবে বিবেচিত নবী ইবরাহীমের জন্মস্থান উর পরিদর্শন করেন পোপ। সেখানে উভয় ধর্মের ধর্মীয় নেতাদের অংশগ্রহণে এক আন্তঃধর্মীয় সভায় অংশ নেন।

সূত্র : আলজাজিরা ও আনাদোলু এজেন্সি


আরো সংবাদ



premium cement