০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫
`


গাজার কিশোরীকে গুলি করে হত্যা ইসরাইলি বাহিনীর

গাজ়ার কিশোরীকে গুলি করে হত্যা ইসরাইলি বাহিনীর - সংগৃহীত

অভিযোগ, সে ছুরি হাতে আক্রমণ করেছিল ইসরাইলি সীমান্ত বাহিনীকে। ‘আত্মরক্ষা’য় গুলি চালিয়ে দেয় তারা। জেরুসালেম এবং অধিকৃত পশ্চিম ভূখণ্ডের মাঝে চেক পয়েন্টটিতে ওই ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ১৬ বছরের ফিলিস্তিনি কিশোরী সামা জুহের মুবারক।

মুবারকরা আদতে গাজার বাসিন্দা। যদিও তারা থাকত পশ্চিম ভূখণ্ডের রামাল্লায়। আল-জাইম চেকপয়েন্টে ঠিক কী ঘটেছে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। মুবারকের পরিবারের দাবি, ঠান্ডা মাথায় তাদের মেয়েকে খুন করেছে ইজরায়েলি বাহিনী। ইজরায়েলের পুলিশ অবশ্য একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, মুবারক ওই চেক পয়েন্টের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। একটা গাড়ির কাছে এক দল ইসরাইলি সেনার সামনে দাঁড়িয়ে সে। এর পরেই কিছু ক্ষণের বাদানুবাদ। পুলিশ পিছিয়ে গেল। খুব কাছ থেকে গুলি চালায় ইজরায়েলি সেনা। মাটিতে লুটিয়ে পড়ল মুবারক। আর একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মেয়েটির ব্যাগ খালি করে তার বই, স্কুলের জিনিসপত্রের মধ্যে তল্লাশি চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী।

জেরুসালেমের পুলিশ প্রধান যোরাম হালেভি দাবি করেছেন, ওই ফিলিস্তিনি কিশোরী একটি ছুরি বার করে ইসরাইলি সেনা-পুলিশকে আক্রমণ করে। ওই কারণেই তাকে গুলি করা হয়। হালেভি যদিও বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কেন ওই ঘটনা ঘটল, তার কারণ এখনও জানা যায়নি। কেন মেয়েটি চেক পয়েন্টে এসেছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’

দিন কয়েক আগেই তিন ফিলিস্তিনি খুন করার অভিযোগ ওঠে ইসরাইলি সেনার বিরুদ্ধে। গত শনিবার পশ্চিম ভূখণ্ডের আল-মুঘেইর গ্রামে ইসরাইলি সেনার গুলিতে মৃত্যু হয় ৩৮ বছর বয়সি হামদি নাসানের। সিলওয়ার গ্রামে পাথর ছোড়ার ‘অপরাধে’ গুলি করে হত্যা করা হয় আয়মান হামেদকে। শনিবার সকালে পূর্ব জেরুসালেমে দামাস্কাস গেট-এ তাড়া করে হত্যা করা হয় রিয়াদ শামাসনে।

২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে ইসরাইল তাদের অস্ত্র আইন শিথিল করে দেয়। বাহিনীকে অনুমতি দেয়া হয়, কেউ পাথর ছুড়লে বা আক্রমণ করলে সঙ্গে সঙ্গে গুলি চালাতে পারে তারা। অভিযোগ, সেই থেকে একের পর এক নিরীহকে হত্যা করছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।

ইরানে ফিরলেন যুক্তরাষ্ট্রে আটক নারী সাংবাদিক
পার্স টুডে
যুক্তরাষ্ট্রে ১০ দিন আটক থাকার পর ছাড়া পেয়ে অবশেষে বুধবার ইরানে ফিরলেন নারী সাংবাদিক মারজিয়া হাশেমি। গত বৃহস্পতিবার ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। তার গ্রেফতার যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনাকে বাড়িয়ে তুলছিল।

যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেয়া হাশেমি ইরানের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রেস টিভির সাংবাদিক। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের তদন্তের অপ্রকাশিত নথির সাক্ষ্য হিসেবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের যৌথ নাগরিক হাশেমি বুধবার ওয়াশিংটনের কেন্দ্রীয় গ্রান্ড জুরির সামনে জবানবন্দী দেয়ার পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত তিন ব্যক্তির সূত্রে ওয়াশিংটন পোস্ট এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের প্রেস টিভির সঞ্চালক ৫৯ বছর বয়সী হাশেমিকে গত ১৩ জানুয়ারি সেন্ট লুইস ল্যামবার্ট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই আটক করে। পরে সেখান থেকে ওয়াশিংটনের কারাগারে হস্তান্তর করা হয় তাকে।

গত বছরের মে মাসে ইরানের সঙ্গে বহুপক্ষীয় পারমাণবিক চুক্তি থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরে আসার ঘোষণা দেয়ার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে ইরানের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। প্রেস টিভি জানায়, কোনো অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মার্কিন কারাগার থেকে মারজিয়া হাশেমি মুক্তি পেয়েছেন। পরে তিনি ওয়াশিংটন ডিসিতে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান। হাশেমি যুক্তরাষ্ট্রে একটি খ্রিষ্টান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পরে ইসলাম ধর্মগ্রহণ করে নিজের নামেও পরিবর্তন আনেন। এরপর এক ইরানিকে বিয়ে করে ইরানের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। নিজের পরিবারকে দেখতে তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল