২২ মে ২০২৪, ০৮ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৩ জিলকদ ১৪৪৫
`


রাখাইনে রোহিঙ্গাদের অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে

-

রাখাইনের দা ফু চাউং ও আশপাশের গ্রাম থেকে রোহিঙ্গাদের আরাকান আর্মি জোরপূর্বক একটি অজানা স্থানে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও)। এসব রোহিঙ্গা এর আগেই আরাকান আর্মি ও জান্তা বাহিনীর সহিংসতার কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
আরএসও তাদের অফিসিয়াল এক্স বার্তায় জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদেরকে নৌকায় বোঝাই করে অজ্ঞাত গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয়দের কারো কারো রিপোর্ট অনুসারে, আরাকান আর্মি তাদের সামিলায় নিয়ে যাচ্ছে, যা আরো সহিংসতার উচ্চ ঝুঁকির ইঙ্গিত দেয়। অন্য একজন বলেছেন, আরাকান আর্মি তাদের কান গওয়া সন এর দিকে পাঠানোর চেষ্টা করছে। নিরীহ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে এই সহিংসতা বন্ধ করতে দাবি জানিয়েছে আরএসও।

আরএসও এই খবরের সাথে একটি হৃদয়বিদারক ফুটেজ যুক্ত করেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে আরাকান আর্মি একজন নিরীহ বেসামরিক রোহিঙ্গা নাগরিককে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করছে। আরএসও এই নির্মম ঘটনার ব্যাপারে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
এ দিকে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন ও রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায় সম্পর্কে ইউনাইটেড লিগ অব আরাকান/ আরাকান আর্মির (ইউএলএ/এএ) মুখপাত্র খাইং থু খা-এর দেয়া এক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আরএসও। সংগঠনটি বলেছে, আরাকান আর্মি রাখাইনে অপরাধের জন্য আরএসওকে দায়ী করে অপপ্রচার চালানোর মাধ্যমে আরো নির্বাসন, রোহিঙ্গা নিধন, তাদের গ্রাম ধ্বংসের ন্যায্যতা প্রমাণের আপাত প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। একই সাথে তাদের ‘বাঙালি মুসলমান’ হিসেবে চিহ্নিত করা আরাকান আর্মির কুসংস্কারের প্রমাণ দেয় এবং মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের স্বীকৃত নাগরিকত্ব ও অধিকারকে ক্ষুণœ করে। এ ধরনের বিকৃতি শুধু জাতিগত বিভাজনকে আরো গভীর ও রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই সৃষ্ট বৈষম্যকে তীব্রতর করবে।

আরএসও বলেছে, আরাকান আর্মির মুখপাত্র খাইং থু খা-এর দেয়া এই বক্তৃতাটি কিসের জন্য তা দেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি এই দুর্বল গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক অপসারণ এবং গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ন্যায্যতা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ডিজাইন করা একটি ক্ষতিকারক কৌশল। আরএসও দৃঢভাবে সব ঘৃণাত্মক বক্তব্য ও ভুল তথ্য বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, আমরা সব প্রাসঙ্গিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিকে তাদের কর্মের জন্য ইউএলএ/আরাকান আর্মিকে দায়ী করা এবং রোহিঙ্গাদের অধিকার ও মর্যাদা সম্পূর্ণরূপে সুরক্ষিত করার জন্য আহবান জানাই।
এর আগের এক বার্তায় আরএসও আরাকান আর্মির সাথে আরএসওর সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে। গত ১৫ এপ্রিল সংঘটিত এই সংঘর্ষে নিহতদের মধ্যে রয়েছে, মোহাম্মদ নূর পিতা: শামসু, কাদিরবিল, মংডু, হুসেন জুহার পিতা: নুর কবির, বুথিডাং, আরাকান, মোহাম্মদ হারেস পিতা: আবুল কাসিম, হরি পাড়া, মংডু, আরাকান, আজিজ খান পিতা: আবু সিদ্দিক, নাশাফোরু, মংডু, আরাকান। বাকি দু’জনের পরিচয় পরে প্রকাশ করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement