প্রতিদিন খবরের কাগজ খুললেই যৌন হয়রানি নামক খবর আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে। যৌন হয়রানি সমাজে মারাত্মক ব্যাধি হয়ে দাঁড়িয়েছে। শহর-গ্রামে, পাড়া-মহল্লøায়, রাস্তাঘাটে, স্কুল-কলেজের সামনে, অফিসে, শপিংমলসহ মেয়েদের চলাচলের জায়গাগুলোতে এর ব্যাপকতা আমাদের চরমভাবে ভাবিয়ে তোলে। যৌন হয়রানির শিকার হয়ে অনেক মেয়ে লজ্জায় আত্মহত্যার পথও বেছে নিচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাতে অনেক অভিভাবক ও শিক্ষককেও জীবন দিতে হয়েছে! তারপরও যৌন হয়রানি থামছে না; বরং দিন দিন বেড়েই চলেছে। অথচ এ জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে। দণ্ডবিধির আইনের ২৯৪ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি অন্যদের বিরক্তি সৃষ্টি করে, কোনো প্রকাশ্য স্থানের কাছাকাছি কোনো অশ্লীল কাজ করে অথবা কোনো প্রকাশ্য স্থানে কোনো অশ্লীল গান, সঙ্গীত বা পদাবলি গায়, আবৃত্তি করে বা উচ্চারণ করে, সেই ব্যক্তি তিন মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।’ দণ্ডবিধির ৫০৯ ধারায় এ বিষয়ে স্পষ্ট বিধান আছে। এ ধারায় বলা আছে, ‘যদি কেউ কোনো নারীর শ্লীলতাহানির উদ্দেশ্যে কথা, অঙ্গভঙ্গি বা কোনো কাজ করে, তাহলে দায়ী ব্যক্তিকে এক বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সাজা বা অর্থদণ্ড কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে হবে।’ যৌন হয়রানির মতো গুরুতর অপরাধ রোধ করতে এর বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট ও কঠোর আইন প্রণয়ন করাই সময়ের দাবি। এর বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে যৌন হয়রানিকে নিরুৎসাহিত করতে প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজের খুতবায় মসজিদের ইমাম এ ব্যাপারে বয়ান করতে পারেন। এভাবেই সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যৌন হয়রানি নামক ভয়াবহ ব্যাধি আমাদের দেশ ও সমাজ থেকে বিতাড়িত হবে।
মোহাম্মদ জীবন আহমেদ
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, সিলেট।
লরনড়হংুষযবঃ২০০৫@মসধরষ.পড়স
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা