২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মাদকের ‘গুণাগুণ’

-

পত্রিকান্তরে জানা গেল, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপিপুত্র জোড়া খুনের আসামি হয়েও মাদক সেবনের ‘কল্যাণে’ ফাঁসির দণ্ড থেকে অব্যাহতি পেয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। এ ক্ষেত্রে বাদিপক্ষ বলতেই পারে, তারা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত। তবে আপিল বা উচ্চ আদালতের দরজা খোলা আছে। এ দিকে, জনমনে কৌতূহল, সরকার মাদকের ব্যাপারে (সরকারের ভাষায়) ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে অটল এবং যার পরিপ্রেক্ষিতে বন্দুকযুদ্ধ ও ক্রসফায়ারে শতাধিক আদম সন্তান দুনিয়া থেকে বিদায় নিল। সেই মাদক সেবন করে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় জোড়া খুন করার পরও ফাঁসির দণ্ড থেকে অব্যাহতি পাওয়া সম্ভব হয় এ দেশে। মাদক সেবন করে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় খুন করা হলেও যদি নেশাই প্রাণদণ্ড হতে বাঁচিয়ে দেয়, তাহলে মাদক কি অবৈধ না থাকতে পারে? একই বস্তু কেউ শুধু বহনের দায়ে বিচার না পেয়ে মরবে, আর সেই বস্তু কেউ সেবন করে নেশাগ্রস্ত হয়ে খুন করেও গুরুদণ্ড থেকে বেঁচে যাবে? এমনটা গুরুতর প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।
কাজী মো: গোলজার হোসেন, মিঠাপুকুর, রংপুর


আরো সংবাদ



premium cement