২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


নর্থ সাউথের সাবেক ২ ট্রাস্টির জামিন স্থগিতে দুদকের আবেদন

নর্থ সাউথের সাবেক ২ ট্রাস্টির জামিন স্থগিতে দুদকের আবেদন - ফাইল ছবি

বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে জমি কেনায় টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আনা মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুই ট্রাস্টিকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়েছে বলে রোববার জানিয়েছেন আইনজীবী দুদক খুরশীদ আলম খান। সাবেক ট্রাস্টি এম এ কাশেম ও রেহানা রহমানকে এর আগে গত ১০ নভেম্বর জামিন দেন হাইকোর্ট।

জামিন আদেশের পর তাদের আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক জানান, দুটি শর্তে তাদের জামিন দিয়েছেন। শর্তগুলো হলো দেশের বাইরে যেতে এবং অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যেতে পারবেন না।

এর আগে পৃথক আবেদনে ২ আগস্ট তাদের কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

গত ২২ মে তাদের আগাম জামিন আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। পরদিন তাদের বিচারিক আদালতে হাজির করা হলে কারাগারে পাঠানো হয়। সেই থেকে তারা কারাবন্দি।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে, তা আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গত ৫ মে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো: ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
আসামিরা হলেন- তৎকালীন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান এবং আশালয় হাউজিং ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো: হিলালী।

এজাহারে বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকজন সদস্যের অনুমোদন/সম্মতির মাধ্যমে ক্যাম্পাস উন্নয়নের নামে ৯০৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমেল জমির দাম ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা বেশি দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা আত্মসাতের হীন উদ্দেশ্য কম দামে জমি কেনা সত্ত্বেও বেশি দাম দেখিয়ে তারা প্রথমে বিক্রেতার নামে টাকা দেন। পরে বিক্রেতার কাছ থেকে নিজেদের লোকের নামে নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আবার নিজেদের নামে এফডিআর করে রাখেন। পরে নিজেরা এ এফডিআরের অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। অবৈধ ও অপরাধলব্ধ আয়ের অবস্থান গোপনের জন্য এ অর্থ হস্তান্তর ও স্থানান্তর মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধও করেন।
সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement