০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বইমেলায় ব্যবসা নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশকদের

রাজধানী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একুশে বইমেলার স্টল নির্মাণের কাজ চলছে : নয়া দিগন্ত -

অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ব্যবসা নিয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন প্রকাশকরা। কাগজের উচ্চমূল্যের কারণে নতুন বইয়ের সংখ্যা কমে যাওয়া ও বইয়ের দাম বৃদ্ধির কারণে এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
প্রকাশকরা বলছেন, কাগজের উচ্চমূল্যের প্রভাব পড়ছে বইয়ের ওপরেও। গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়ছে বইয়ের দাম। এমন দাম বৃদ্ধিতে পাঠক বই কেনার বিষয়ে কতটা আগ্রহী হবেন তা নিয়ে সন্দিহান তারা। কারণ কাগজের দাম বেড়েছে, তার ওপর চাহিদা অনুযায়ী কাগজও পাওয়া যাচ্ছে না।
জানা গেছে, অধিকাংশ প্রকাশনা সংস্থায় এবার নতুন বইয়ের সংখ্যা ২৫ থেকে ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়েছে। আগে যে বইয়ে ১৮-২০ হাজার টাকা খরচ হতো, সেখানে এখন খরচ হচ্ছে ৩০-৩৫ হাজার টাকা। এতে করে গত বছরের তুলনায় এবার শতকরা ৪০ শতাংশ প্রোডাকশন খরচ বেড়েছে, যা বইয়ের দামে সমন্বয় করতে হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি আরিফুর রহমান ছোটন সাংবাদিকদের বলেন, বই কেনার জন্য পাঠকের একটা নির্দিষ্ট বাজেট থাকে। যেখানে আগে ৭-১০টা বই কিনত, এবার হয়তো তিন থেকে চারটা কিনবে। তিনি বলেন, ‘আমরা অনুরোধ জানিয়েছিলাম জানুয়ারি মাসটা কাগজ শুল্কমুক্ত রাখার জন্য, যাতে বইমেলার সময়টা কাগজের দামটা স্বাভাবিক থাকে, কিন্তু সেটাতে সাড়া পাইনি।’


এ দিকে কাগজের দাম বাড়ায় অমর একুশে বইমেলায় বই প্রকাশনা কম হবে, বলে মন্তব্য করেছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। তিনি বলেন, কাগজের দাম বাড়ায় মানহীন বই ছাপার পরিমাণ কমবে। তবে মুড়ি-মুড়কির মতো বাজারে যে বইগুলো বের হয়, অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে সেগুলো বন্ধ হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, এ বইমেলায় সাধারণত পাঁচ হাজার বই বের হয়। এখানে আমরা দেখেছি, এক হাজার বইও বই না। যেমন তেমন বই বের করে কাগজের অনটন সৃষ্টি করবে, এটা কিন্তু মূল সৃষ্টিশীলতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। অপর দিকে বাংলা বাজারে চলছে নতুন বই বাঁধাইয়ের কাজ। তবে মেলার প্রস্তুতিতে বাজার সরগরম থাকলেও কাগজের মূল্যবৃদ্ধির কারণে নতুন বই ছাপানোয় আগ্রহ নেই প্রকাশনা সংস্থাগুলোর। এতে বই বাঁধাইয়ে কিছুটা ভাটা পড়েছে কারখানাগুলোতে।
এবারের মেলায় সবমিলিয়ে ৫৭৫টি প্রতিষ্ঠান এবং সর্বমোট স্টল রয়েছে ৮৫৭টি। আর প্যাভিলিয়ন থাকছে ৩৪টি। এর মধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪৭২টি প্রতিষ্ঠান আর স্টল আছে ৭১০টি। বাংলা একাডেমিতে প্রতিষ্ঠান আছে ১০৩টি আর ইউনিট আছে ১৪৭টি। এ ছাড়া ফুডকোর্ট, নামাজের জায়গা, ওয়াশরুম সব আগের মতোই আছে। নতুন ১২টি প্রকাশনীসহ মেলা পরিচালনা কমিটি ইতোমধ্যে স্টল বরাদ্দ দিয়েছে। তবে এবার স্টল বিন্যাসে কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে। মেলায় মূল মঞ্চ থাকবে বাংলা একাডেমি অংশে। আর গ্রন্থ উন্মোচন ও লেখক বলছি মঞ্চ থাকবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশে। তবে বেশি স্টল ও প্যাভিলিয়ন থাকছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে।


আরো সংবাদ



premium cement
মিল্টন সমাদ্দার গ্রেফতার, উজিরপুরে মিষ্টি বিতরণ গাছ লাগানোর উপযুক্ত সময়, স্থান ও প্রজাতি যশোরের শার্শায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন যুদ্ধের খবর সংগ্রহের পাশাপাশি বিবিসির গাজা প্রতিনিধির টিকে থাকার লড়াই রাশিয়া রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেছে : যুক্তরাষ্ট্র চীনা অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধ করার পক্ষে ৫০ ভাগ আমেরিকান রাজবাড়ীতে মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত, রেল যোগাযোগ বন্ধ রাফায় হামলার ব্যাপারে ইসরাইলকে হুঁশিয়ারি হামাসের স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে নৌকাডুবি, ৫০ শরণার্থীর মৃত্যুর ‌শঙ্কা ফিলিপাইনে খরায় জলাধার শুকিয়ে জেগে উঠেছে ৩০০ বছর আগের নগর ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় আজ প্রবল কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টি হতে পারে

সকল