১৭ মে ২০২৪, ০৩ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫
`


যশোরের শার্শায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন

- ছবি : নয়া দিগন্ত

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় যশোরের শার্শা উপজেলায় চলতি মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে ক্ষেতের ৫০ শতাংশ ধান সংগ্রহ সম্পন্ন হয়েছে।

শার্শা উপজেলার সরকারি কৃষি অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় মোট আবাদি জমির পরিমাণ ২৯ হাজার হেক্টর। এর মধ্যে চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার ২৩ হাজার ৮২৪ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। বোরো ধানের চাষ সুন্দরভাবে করতে প্রণোদনার মাধ্যমে কৃষকদের উৎসাহিত করতে সরকার শার্শা উপজেলার প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার ৬০০ কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে উন্নত জাতের বীজ ধান ও বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক সার বিতরণ করেছেন।

বোরো ধান উৎপাদনের বিভিন্ন উপকরণ ন্যায্যমূল্যে সহজ প্রাপ্তি ও অনুকূল আবহাওয়ার কারণে উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে এবং কোনো প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা ছাড়াই ইতোমধ্যে ধান সংগ্রহ প্রায় ৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে।

সূত্র জানায়, উপজেলার কৃষি অধিদপ্তরের অফিসাররা বোরো ধানের চাষ সুন্দরভাবে সফল করতে কৃষকদের মাঠে গিয়ে নিয়মিত পরিদর্শন করে তাদেরকে বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। সে হিসাবে ফলন আশানুরূপ অনেক ভালো হয়েছে। বিঘা প্রতি চিকন ধান হয়েছে ২৪ থেকে ২৬ মণ। অন্যদিকে, হাইব্রিড মোটা ধান হয়েছে ২৮ থেকে ৩০ মণ।

উপজেলার লক্ষনপুর গ্রামের কৃষক আতাউর রহমান জানান, তাদের এলাকায় প্রতি বছর বোরো ধানের চাষ হয়ে থাকে বেশি। এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে কিছু কিছু এলাকায় কারেন্ট পোকা আক্রমণ করে একটু ক্ষতি হয়েছে।

বাহাদুরপুর গ্রামের কৃষক খন্দকার আতিয়ার রহমান বলেন, তার এলাকার জমি সমূহে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ বছর সরকারের পক্ষ থেকে বোরো ধান চাষের জন্যে প্রণোদনাসহ যথেষ্ট সহযোগিতা দেয়া হয়েছে।

শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার সাহা জানান, বোরো ধান চাষের শুরুতে আমরা এই উপজেলার কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা হিসেবে সার বীজ ও অন্যান্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলায় প্রায় পাঁচ হাজার ৬০০ কৃষকদের মাঝে এই সার বীজ ও কৃষি সামগ্রী বিতরণ করা হয়। ধান চাষের জন্য আমরা বিভিন্ন সময়ে কৃষকদের মাঝে পরামর্শ দিয়ে থাকি। কখন কী করতে হবে সেটা কর্মশালার মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে জানিয়ে দেয়া হয়। আমাদের উপজেলা অফিসের মাঠকর্মীরা মাঠে যেয়ে কৃষকদের মাঝে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। শার্শা উপজেলায় ৯টা কম্বাইন্ড হারভেস্টার মাধ্যমে ধান কর্তন ছাড়াই মাড়াই কাজ চলছে। বর্ষার আগেই ধান কেটে ফেলার জন্য বলা হয়েছে এবং ধান কৃষকদের ঘরে না ওঠা পর্যন্ত আমদের বিভিন্ন সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।


আরো সংবাদ



premium cement