খালেদা জিয়ার বিদেশ যেতে আইন নয়, সরকারই বাধা

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, চিকিৎসার জন্য বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যেতে আইনে বাধা নেই, সরকারই বাধা। এক টাকা উত্তোলন না করেও কিভাবে এতিমের টাকা মেরে খেয়েছেন এমন প্রশ্ন করে তিনি বলেন, সরকার ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আইনে বিনা শর্তে বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো সম্ভব। দেশের ১৮ কোটি মানুষের দাবি বেগম জিয়াকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়াস্থ কালামিয়া বাজারের কে বি কনভেনশন হলের সম্মুখ চত্বরে বেগম জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বেগম জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আওয়ামী সরকার দেশকে ধ্বংসের শেষপ্রান্তে নিয়ে গেছে। সরকারকে একটি ধাক্কা দিতে পারলেই কোনো ধরনের অস্তিত্ব থাকবে না। পুলিশকে থানায় রাখেন, মাঠে আওয়ামী লীগকে পাঠান। তখন মাঠে প্রমাণ করব।
তিনি সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, দেশের মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি সরকার। ২৯ তারিখ ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় এসেছেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদার যে অসুস্থতা সেটা বাংলাদেশ নয় এশিয়া মহাদেশে পর্যন্ত উন্নত চিকিৎসা করা সম্ভব নয়।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা: শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার, এস এম ফজলুল হক, কেন্দ্রীয় বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম।
মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্করের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, আবু সুফিয়ান, হুম্মাম কাদের চৌধুরী, সাবেক এমপি শাহাজাহান চৌধুরী, আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, হারুন অর রশিদ, জালাল উদ্দীন মজুমদার প্রমুখ।
এ দিকে দুপুরের আগেই বিপুল যানবাহনে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে থাকে। এ সময় কর্ণফুলী শাহ আমানত ব্রিজ হতে বহদ্দারহাট পর্যন্ত সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।