০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


পুলিশ নিরীহ মানুষকে গ্রেফতার করে জুলুম নির্যাতন চালাচ্ছে : গোলাম পরওয়ার

-

বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল ইসলামকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ৬ মে রাত ৮টার দিকে বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও গণমানুষের নেতা অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল ইসলামকে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার টেরিবাজার এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যায়। মহিমান্বিত এ রমজান মাসে তারাবির পূর্ব মুহূর্তে একজন জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধিকে বিনা ওয়ারেন্টে ডিবি পলিশ পরিচয়ে তুলে নেয়ার পর থেকে কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। খোঁজ না পেয়ে তার পরিবার খুবই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে। তিনি আরো বলেন, তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা ওয়ারেন্ট ছিল না। কি কারণে তাকে উঠিয়ে নিয়েছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। পবিত্র রমজান মাসে যখন মানুষের সাথে কোমল আচরণ করার কথা, তখন পুলিশ নিরীহ মানুষকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে। আমি পুলিশের এ অন্যায় গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিবৃতিতে তিনি বলেন, রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের পরিবর্তে সরকারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। জুলুম-নিপীড়নের পরিণতি কখনো শুভ হয় না। ভিন্নমতের মানুষকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের ওপর জুলুম-নিপীড়ন চালিয়ে সরকার বেশি দিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। জনপ্রিয় নেতা অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল ইসলামসহ সারা দেশে গ্রেফতারকৃত সব নেতাকর্মীকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
স্পিডবোট দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের পাশে জামায়াত : গত ৩ মে মাওয়াঘাটে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। ওই দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণকারী কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার মাইথারকান্দী গ্রামের সাইফুল ও রুহুল আমিন এবং তিতাস উপজেলার জিয়াউরের পরিবারের পাশে এসে সান্ত¡না ও আর্থিক সহায়তা দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মা’ছুম। তিনি নিহতদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৩ মে স্পিডবোট ডুবিতে যারা নিহত হয়েছেন, আমি তাদের জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করছি, তিনি যেন তাদেরকে শাহাদাতের মর্যাদা দেন। তিনি আরো বলেন, স্পিডবোট ডুবিতে যারা নিহত হলেন, তাদের পরিবারের শূন্যতা কিছুতেই পূরণ হওয়ার নয়। একমাত্র আল্লাহই তার রহমতের চাদর দ্বারা সব শূন্যতা পূরণ করে দিতে পারেন। এ সময় তিনি নিহতদের পরিবার-পরিজনদের ধৈর্যধারণ ও এই শোক কাটিয়ে ওঠার তাওফিক কামনা করে নিহতদের পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় লোকদের নিয়ে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া করেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও কুমিল্লা উত্তর সাংগঠনিক জেলা আমির অধ্যাপক মাওলানা আলী আশরাফ খান, জেলা বায়তুলমাল সেক্রেটারি আবদুল বারী, দাউদকান্দি পশ্চিম ও পূর্ব সাংগঠনিক উপজেলা আমির খন্দকার আবুল বাশার, মনিরুজ্জামান বাহলুল, তিতাস উপজেলা আমির শামীম সরকার বিজ্ঞ, দুই উপজেলা শাখার সেক্রেটারি কাউছার আলম ও মেছবাহ উদ্দীন মিয়াজী এবং মোখলেছুর রহমান প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি।


আরো সংবাদ



premium cement