১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলকদ ১৪৪৫
`


লকডাউনের পঞ্চম দিনে খুলল দোকান

ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় নিউমার্কেট-গাউছিয়ায়

রাজধানীর নিউমার্কেট ও গাউছিয়া মার্কেটের সামনের ফুটপাথে ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি না মেনে কেনা-বেচা : নয়া দিগন্ত -

করোনার সংক্রমণ রোধে এক সপ্তাহের লকডাউনের চারদিন দোকানপাট বন্ধ থাকলেও শুক্রবার থেকে তা খুলে দেয়া হয়েছে। সকাল থেকে নগরীর বিপণিবিতান, বিভিন্ন মার্কেট ও ফুটপাথগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিতি মোটামুটি। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে নিউমার্কেট ও গাউছিয়া মার্কেটে উপচেপড়া ভিড় হতে শুরু করে। এ সময় স্বাস্থ্যবিধি দূরে থাক, ক্রেতাদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয় দোকানিদের। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব মার্কেটের দোকানপাট খোলার কথা থাকলেও, তা মানছেন না অনেকেই। রাজধানীর একাধিক শপিংমল ঘুরে দেখা গেছে, দোকানগুলোতে নেই সামাজিক দূরত্ব। অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে মাস্ক থাকলেও, সেটা অনেকের থুতনির নিচে স্থান পেয়েছে। প্রবেশপথে নিরাপত্তারক্ষীরা স্যানিটাইজারের বিকল্প হিসেবে হাতে স্যাভলন মিশ্রিত পানি ছিটাচ্ছেন।
সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুক্রবার সকাল ৯টা থেক বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিপণিবিতানসহ দোকানপাট চালু রাখা যাবে। এই সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
শুক্রবার দুপুরে গাউসিয়া মার্কেটে গিয়ে দেখা গেছে, মানুষের ভিড়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সামনে এগুনো কঠিন। গাউসিয়া মার্কেট লাগোয়া এলিফ্যান্ট রোডেও ছিল প্রচণ্ড ভিড়। একই চিত্র দেখা গেছে, মার্কেটের সামনের ফুটওভার ব্রিজেও। এখানকার ফুটপাথ থেকে শুরু মার্কেটের ভেতরের অলিগলিতেও ছিল উপচেপড়া ভিড়। কেউ কেউ মাস্ক পরলেও বেশির ভাগেরই মুখে তা দেখা যায়নি। দোকানিরা ক্রেতাদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। কোনো দোকানেই হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি পালন করতে দেখা যায়নি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, টানা চার দিন বন্ধ থাকার পর হঠাৎ করেই দোকানপাট খুলে দেয়া হয়। এর মধ্যে আবার আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউনের কথা বলা হচ্ছে। এ অবস্থায় আসন্ন পয়লা বৈশাখ ও পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা কেনাকাটার জন্য মার্কেটগুলোতে ভিড় করছেন। এছাড়া নগরবাসীও সেই ভিড়ে অংশ নিয়ে কেনাকাটা করছেন। যে কারণে মানুষের চাপ বেশি। গাউসিয়া মার্কেটের চার তলার কয়েকটি দোকানে পোশাক কেনার জন্য ক্রেতাদের লাইনে দাঁড়িয়ে সিরিয়াল ধরতে দেখা গেছে। ক্রেতারা জানান, এই দোকানগুলোতে মেয়েদের ড্রেস বেশি বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য দোকানের তুলনায় এই দোকানে দাম অনেক কম। সে কারণেই এই ভিড়।
ফুটপাথের পাঞ্জাবি বিক্রেতা আরিফ হোসেন জানান, সকালের দিকে কোনো ক্রেতা ছিল না। দুপুরের দিকে এত সংখ্যক মানুষ বের হয়েছে যেন তারা ঈদের কেনাকাটা শুরু করেছেন। বেচাবিক্রিও যথেষ্ট হচ্ছে। এভাবে দুই-তিন দিন বিক্রি হলে ঈদের সময় যে লাভ হয়, আশা করি সেটা হয়ে যাবে।
এ দিকে নগরীর অন্য মার্কেটগুলোতে দুপুর পর্যন্ত তেমন একটা ভিড় দেখা যায়নি। মালিবাগ এলাকার মার্কেটগুলো অনেকটাই ফাঁকা দেখা গেছে। একই চিত্র দেখা গেছে মৌচাক মার্কেটেও। মগবাজারের শপিংমলগুলোতেও তেমন একটা ভিড় দেখা যায়নি। এ দিকে মিরপুর ১০ থেকে ২ নম্বর পর্যন্ত ফুটপাথে ব্যবসায়ীরা বসেছেন। তবে মাস্ক ছাড়া কেউই আর কোনো স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। ফুটপাথের দোকানদার শরিফ আহমেদ জানান, দোকান খুলছি, তবে এই এলাকায় বেচাকেনা তেমন নেই। দুপুর পর্যন্ত কোনো বিক্রি হয়নি। আমাদের তো দিনে এনে দিন খাওয়ার অবস্থা। একদিন বিক্রি না হলে ফ্যামিলি নিয়ে চলতে কষ্ট হয়।’


আরো সংবাদ



premium cement
মারাত্মকর বিপর্যয়ে বাংলাদেশ আল্লাহ পরিপূর্ণ সুস্থতা দান করলে দেশের সেবায় নিয়োজিত হব : ড. খন্দকার মোশাররফ এবার খুব ভালো ভোট পড়েছে তা বলব না : ওবায়দুল কাদের রশিতে কুবি ভিসির কুশপুত্তলিকা ঝুলালো শিক্ষক সমিতি! দেশে আরেকটি ডামি নির্বাচন হচ্ছে : রিজভী ‘আমার আর থাহার কোন জাগা নাইরে বাজান!’ তামিমের দ্বিতীয় ফিফটি, বড় সংগ্রহের ভিত গড়ছে বাংলাদেশ বাংলাদেশের জন্য মনোনীত মার্কিন বিশেষ রাষ্ট্রদূত মিল আগে যেসব দায়িত্ব পালন করেছেন বান্দরবানে কেএনএফের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেন বম উজিরপুরে বিশ্বনবীকে কটূক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল তামিমের ব্যাটে বাংলাদেশের উড়ন্ত শুরু

সকল