২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সিলেটে ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার জাভেদ প্যাটেল

-

বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার জাভেদ প্যাটেল গত সোমবার সিলেট সফর করেছেন। তিনি ২০২০ সালের ফেব্র“য়ারিতে ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনে ডেপুটি হাইকমিশনার হিসেবে যোগদানের পর এই প্রথম সিলেট সফর করেন। এই সফরে ডেপুটি হাইকমিশনার সিলেটের মেয়রসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বকে দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আরো সমৃদ্ধ করার ওপর জোর দেন।
সফরের প্রথম দিন জাভেদ প্যাটেল সিলেট সিটি করপোরেশন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সাথে সাক্ষাৎ করেন। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের জনগণের মধ্যকার দীর্ঘদিনের সুসম্পর্কবিষয়ক আলোচনার পাশাপাশি তারা যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ সরকার, সিলেট সিটি করপোরেশন ও জাতিসঙ্ঘের উন্নয়ন কর্মসূচির যৌথ উদ্যোগে সিলেট নগরীর দারিদ্র্য দূরীকরণ কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করেন। এই গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচির আওতায় সিলেট সিটি করপোরেশনের ১১,০০০ জন মানুষ কোভিড-১৯ বিষয়ক সচেতনতা, পুষ্টি ও জীবিকার জন্য অনুদানসহ নগরের দারিদ্র্য দূরীকরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন সহায়তা পাচ্ছেন। তিনি সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মো: মশিউর রহমান এবং সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমদ পিপিএমের সাথেও সাক্ষাৎ করেন।
এই সিলেট সফরে ডেপুটি হাইকমিশনার ব্রিটিশ কাউন্সিলের স্থানীয় অফিস পরিদর্শন করেন ও যুক্তরাজ্যের পরীক্ষাবিষয়ক প্রশাসনের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। সফরের দ্বিতীয় দিন তিনি সিলেটের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র জাফলং ও খাদিমনগর চা বাগান পরিদর্শন করেন। এই সফরে তিনি তামাবিল সীমান্ত পোস্টের ইমিগ্রেশন এবং শুল্ক কর্মকর্তাদের সাথেও সাক্ষাৎ করেন।
সিলেট সফর শেষে ডেপুটি হাইকমিশনার জাভেদ প্যাটেল বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম সুন্দর শহর এবং যেখানে যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আগের তুলনায় আরো বেশ সমৃদ্ধ। সিলেট সফরে আসতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এই শহরের সাথে অনেক ব্রিটিশ-বাংলাদেশীর প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে। এখানে এসে সিলেটের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে গভীরভাবে জানতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে। এই বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশতম বার্ষিকী পালনের পাশাপাশি আমি বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের ব্যতিক্রমী বন্ধন উদযাপনের আশা ব্যক্ত করছি। বিজ্ঞপ্তি।

 


আরো সংবাদ



premium cement