০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


এসআর গ্রুপের আরো ৩ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা

-

ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতর এসআর গ্রুপের আরো তিনটি রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকির মামলা দায়ের করেছে। ভ্যাট ফাঁকির উদ্দেশ্যে প্রকৃত বিক্রয় তথ্য গোপন করায় এই মামলা করা হয়। প্রতিষ্ঠান তিনটি হচ্ছেÑ সুং ফুড গার্ডেন, ১৫/৫ বিজয় নগর, আকরাম টাওয়ার, ঢাকা; গার্লিক এন জিঞ্জার, ইম্পেরিয়াল আমিন আহাম্মেদ সেন্টার, (৭ম তলা), বাড়ি নং-৫৪, রোড-১০/এ, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২১২; গার্লিক এন জিঞ্জার, দোকান নং-১, সি-৩৭, ১ম তলা, যমুনা ফিউচার পার্ক, ঢাকা-১২১২।
ভ্যাট গোয়েন্দার অনুসন্ধানে এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রায় ৩২ কোটি ২৫ লাখ টাকার গোপন বিক্রির তথ্য উদঘাটন করা হয়। এর মাধ্যমে এসআর গ্রুপ তিনটি রেস্টুরেন্টে ৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে গতকাল সোমবার তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা।
এর আগে একই গ্রুপের ফুড ভিলেজ ও ফুড ভিলেজ প্লাস নামক দু’টি হাইওয়ে রেস্টুরেন্টের ২০০ কোটি টাকা বিক্রির তথ্য গোপন ও বিপরীতে ২৬ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকির তথ্য উদঘাটন করা হয়। দ্য গ্রেট কাবাব ফ্যাক্টরি রাজধানীর গুলশান-২, যমুনা ফিউচার পার্ক ও ধানমন্ডি এলাকায় তিনটি অভিজাত রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধেও প্রায় ১৫ কোটি টাকা গোপন বিক্রির তথ্য উদঘাটন করা হয়। এতে ওই ব্যবসায়ী গ্রুপটির বিরুদ্ধে প্রায় ৩ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকির মামলা হয়। ভ্যাট ফাঁকির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে ১৪ সেপ্টেম্বর ভ্যাট গোয়েন্দার একটি দল রাজধানীর নিকুঞ্জ-১ এর ৪৬ নম্বরের লেকড্রাইভের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ভ্যাট গোয়েন্দার উপপরিচালক নাজমুন নাহার কায়সার ও ফেরদৌসী মাহবুব নেতৃত্ব দেন। এতে এসআর গ্রুপের মালিকানাধীন এই তিনটিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত ও গোপনকৃত বিক্রয় তথ্য পাওয়া যায়। দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে গতকাল এই তিনটি রেস্টুরেন্টের ফাঁকির হিসাব চূড়ান্ত করে সেই সূত্রে ভ্যাট আইনে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ভ্যাট গোয়েন্দার প্রাথমিক অনুসন্ধান অনুযায়ী, সুং ফুড গার্ডেন (বিআইএন-০০১৩১৬২৯৭-০২০৮) নামীয় প্রতিষ্ঠানটি দাখিলপত্রে বিক্রয়মূল্য প্রদর্শন করেছে ৬ কোটি ৩৪ লাখ। কিন্তু অভিযানে জব্দকৃত কাগজপত্র থেকে প্রাপ্ত প্রকৃত মূসক আরোপযোগ্য বিক্রয়মূল্য পাওয়া যায় ২১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এখানে ভ্যাট ফাঁকি হয়েছে ২ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এই ভ্যাট যথাসময়ে পরিশোধ না করায় ভ্যাট আইন অনুযায়ী মাসিক ২% হারে সুদ বর্তায় ১ কোটি ২ লাখ টাকা।
গার্লিক এন জিঞ্জার (বিআইএন-০০২১২৮৮৬২-০১০১) নামীয় প্রতিষ্ঠানটি দাখিলপত্রে বিক্রয়মূল্য প্রদর্শন করেছে ৩ দশমিক ৪৬ কোটি। কিন্তু জব্দকৃত তথ্যে দেখা যায়, তাদের প্রকৃত মূসক আরোপযোগ্য বিক্রয়মূল্য ১৫ কোটি ৭ লাখ । এখানে ভ্যাট ফাঁকি হয়েছে ১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এই ভ্যাট যথাসময়ে পরিশোধ না করায় মাসিক ২% হারে সুদ ৯০ লাখ টাকা আদায়যোগ্য হয়েছে।
অন্য দিকে গার্লিক এন জিঞ্জার (বিআইএন-০০১২১৫৮৮৩-০২০১) নামীয় প্রতিষ্ঠানটি দাখিলপত্রে বিক্রয় ঘোষণা দিয়েছে ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। অনুসন্ধানে দেখা যায়, এর প্রকৃত ভ্যাট আরোপযোগ্য বিক্রয়মূল্য ৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এখানেও ভ্যাট ফাঁকি হয়েছে ৭৯ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। এই ভ্যাট যথাসময়ে পরিশোধ না করায় একইভাবে মাসিক ২% হারে সুদ আরোপযোগ্য ২৫ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
মামলাগুলো নিষ্পত্তির জন্য ৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গার্লিক এন জিঞ্জার ঢাকা উত্তর ভ্যাট কমিশনারেট এবং বাকি দু’টি ঢাকা দক্ষিণ ভ্যাট কমিশনারেটে প্রেরণ করা হবে।
এই তিনটিসহ এ পর্যন্ত মামলা দায়েরকৃত অন্য ৫টি রেস্টুরেন্টে বিক্রির তথ্য গোপন পাওয়া গেছে ২৪৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা। আর এতে ভ্যাট ফাঁকি হয়েছে ৩৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা।


আরো সংবাদ



premium cement
শুক্রবার দেশে আসবে মোহাম্মদ আলীর লাশ, শনিবার দাফন ইসরাইলের সাথে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করে দিলো তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিলো ইরান বাসায় ফেরার পর যা জানালেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ঋণ পুনঃনির্ধারণের নিয়ম মূল্যস্ফীতিকে বাড়িয়ে তুলছে : ড. ফরাস উদ্দিন ৪ মাসে ৮৩১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ বকেয়া বিল পরিশোধ নিয়ে সরকারের অবস্থান জানতে আগ্রহী আইএমএফ সরিষাবাড়ীতে যুবতীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা দিল ব্র্যাক ব্যাংক সৌদি আরবের ৮০ কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী : সালমান এফ রহমান ওমরার ভিসায় হজ করা যাবে না : সৌদি কর্তৃপক্ষ

সকল