২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাজশাহীতে আট বছরের শিশুর নামে মামলা!

-

রাজশাহী শ্রম আদালতে আট বছরের শিশুর নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি করেছে রাজশাহীর কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের পরিদর্শক। শিশুটির নাম জুবাইর আহমেদ। বয়স মাত্র আট বছর। দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র। রাজশাহীর পবা উপজেলার পূর্বপুঠিয়া পাড়া এলাকায় তাদের বাড়ি।
রাজশাহীর নওহাটা বাজারে শুক্রবার দোকান খোলার অপরাধে একইসাথে শিশু ছেলে ও বাবার নামে এই মামলা হয়েছে। বর্তমানে শিশুটি ও তার বাবা আলী আদালতের আদেশে জামিনে রয়েছেন। রাজশাহীর পবার নওহাটা বাজারে তাদের ‘জে বার্মিজ সুজ’ নামে একটি জুতার দোকান রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২৪ মার্চ সন্ধ্যায় পবা উপজেলার নওহাটা বাজারের ‘জে বার্মিজ সুজ’ দোকানের মালিক আলীর কাছে রাজশাহীর শ্রম আদালতের দু’টি সমন আসে। সেখানে বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬-এর ৩০৭ ধারার অপরাধ করার অভিযোগ আনা হয়। পরে আইনজীবীর মাধ্যমে আলী জানতে পারেন যেকোনো এক শুক্রবারে তার দোকান খোলা ছিল সেই অপরাধেই গত ১১ ফেব্রুয়ারি হয়েছে মামলা। আর দোকানের সাইনবোর্ডে ছেলের ছবি ও নাম থাকায় আসামি হয়েছে সেও। মামলা দায়েরের পর প্রথমে এ বছরের ২৫ মার্চ ও পরে ২০ সেপ্টেম্বর শুনানির তারিখ দেন শ্রম আদালত। তাতে শিশুটির আদালতে হাজিরা দিতে যাওয়া নিয়ে বিব্রত তার পরিবার। ভুক্তভোগী শিশু জুবাইর জানায়, আমাকেও কোর্টে যাওয়া লেগেছে। সবাই আমাকে দেখে হাসছিল। শিশু জুবাইয়েরর মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৮ নভেম্বর নির্ধারণ করেছেন শ্রম আদালত।
শিশুটির বাবা আলী জানান, দোকান খোলার অপরাধে মামলা হলে আমার নামে হবে। শিশুটির নামে কেন এই মামলা হবে?
আসামি পক্ষের আইনজীবী এস আলম জামান রাসেল সাংবাদিকদের জানান, শ্রম আইন অনুযায়ী আট বছরের এই শিশুটি মামলায় আসামি হতে পারে না। তা ছাড়া শিশু জুবাইর দোকানের মালিক বা পরিচালক কোনোটিই নয়। শুধু সাইনবোর্ডে ছবি ও নাম থাকায় তার বিরুদ্ধে মামলা হতেই পারে না।
এ ব্যাপার কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর রাজশাহীর উপ-মহাপরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ভুইয়া সাংবাদিকদের জানান, এটি সংশ্লিষ্ট পরিদর্শকের ভুল। তাই শিশুটির মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে তারা আন্তরিক।
তিনি বলেন, শিশুটির পরিবার যদি আমাদের সাথে যোগাযোগ করত তাহলে এ ধরনের ঘটনা ঘটত না। কিংবা ঘটার পরও যদি যোগাযোগ করত তাহলে আরজি পরিবর্তন করে শিশুটির নাম বাদ দেয়া যেত। এখন আমরা আরজি থেকে শিশুটির নাম বাদ দেয়ার ব্যবস্থা করব।

 


আরো সংবাদ



premium cement