২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মাদক বিক্রিতে রাজি না হওয়ায় আঁখির চোখে কাঁচি ঢুকিয়ে দিলো পাষণ্ড স্বামী

-

টাঙ্গাইলে মাদক বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে স্ত্রী আঁখির চোখে গার্মেন্টের সুতা কাটার ধারালো কাঁচি ঢুকিয়ে দিয়েছে পাষণ্ড স্বামী। এতে আঁখি আক্তার (১৮) মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। ডাক্তারের অভিমতÑ আঁখির চোখটি স্থায়ীভাবেই নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি আর ওই চোখে দেখতে পারবেন না। রোববার ভোররাতে কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের মাইস্তা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রথমে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল এবং পরে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে তাকে। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা: শফিকুল ইসলাম সজীব নয়া দিগন্তকে বলেন, আঁখির বাম চোখে ধারালো কাঁচি দিয়ে মারাত্মকভাবে উপর্যুপরি আঘাত করা হয়েছে। ফলে স্থায়ীভাবেই তার বাম চোখটি নষ্ট হয়ে গেছে। ওই চোখে তিনি আর দেখতে পারবেন না। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
আঁখির চাচা খোকন মিয়া জানান, মির্জাপুর উপজেলার বুসুন্দী গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে ফারুক হোসাইনের সাথে কয়েক বছর আঁখির বিয়ে হয়। ফারুকের বাবা বিদেশ থাকায় ফারুক মাদক সেবন ও মাদকের কারবারে জড়িয়ে পড়ে। ফারুক তার স্ত্রী আঁখিকে মাদক বিক্রি করতে বললে আঁখি তাতে রাজি না হওয়ায় উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আঁখি তার বাবার বাড়ি চলে আসে। এসব নিয়ে তাদের মধ্যে একাধিকবার ঝগড়াঝাটি ও সালিস হয়েছে। এর আগে গত রমজান মাসে ফারুক ছুরি দিয়ে আঁখিকে আহত করে। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার ভোররাতে ফারুক সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে আঁখির বাম চোখে ধারালো কাঁচি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। আঁখির চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে আঁখির অবস্থার অবনতি হলে ভোরেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠিয়ে দেন চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় ফারুকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন সবাই।
কালিহাতী থানার ওসি হাসান আল মামুন নয়া দিগন্তকে বলেন, বিষয়টি জানার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement